দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের উৎপাদিত করোনার ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।
আজ বুধবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় সংস্থাটি।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি নিজেদের উৎপাদিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর অনুমতির জন্য বিএমআরসির কাছে আবেদন করে গ্লোব বায়োটেক।
অনুমোদনের সাত থেকে দশদিনের মধ্যে রাজধানীর কোনো একটি বেসরকারি হাসপাতালে ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর এর প্রয়োগের কথা রয়েছে।
গ্লোব বায়োটেকের হয়ে ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর আবেদন করে ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এটি বিএমআরসি অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান। বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে তারা।
গত বছরের ৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেক জানায়, তাদের প্রথম ভ্যাকসিন ইঁদুরের ওপর প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফল হয়েছে। গবেষকরা প্রথমে এ ভ্যাকসিনের নাম দেন ব্যানকোভিড। পরে এর নাম পরিবর্তন করে বঙ্গভ্যাক্স রাখা হয়।
১৭ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের আরও দুটি ভ্যাকসিনের সঙ্গে বঙ্গভ্যাক্স বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খসড়া ল্যান্ডস্কেপ অ্যান্ড ট্র্যাকার অব কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অন্তর্ভুক্ত হয়।
গত ৬ জানুয়ারি কোম্পানিটি স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছ থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয় ডোজ উৎপাদনের অনুমোদন পায়।
গ্লোব বায়োটেক প্রাথমিকভাবে আইসিডিডিআরবি’র সঙ্গে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের একটি চুক্তি করে। পরে এ চুক্তি বাতিল হয়ে যায় এবং কোম্পানিটি সিআরওর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়।