কোয়াড দেশগুলোর নেতারা দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়ার নিন্দা জানিয়েছে। পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান বলেছে তারা সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে কোন সমর্থন না করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিল যারা সীমান্ত আক্রমণসহ সন্ত্রাসী হামলা চালাতে বা পরিকল্পনা করতে পারে ।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজে প্রথম সরাসরি সামিট শেষে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাপানের প্রিমিয়ার ইয়োশিহিদে সুগা এবং অস্ট্রেলিয়ার স্কট মরিসন বলেন, আফগানিস্তান বিষয়ে নিজেদের কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকার নীতি ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করা হবে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাস দমন ও মানবিক সহযোগিতা আরও গভীর করা হবে।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা সন্ত্রাসী প্রক্সি ব্যবহারের নিন্দা জানাই। সন্ত্রাসী আক্রমণ ও সীমান্ত হামলা চালাতে বা পরিকল্পনা করতে পারে এমন কোনো ধরনের সন্ত্রাসী দলকে অবকাঠামোগত, অর্থনৈতিক ও মিলিটারি সমর্থন না দেয়াটা গুরুত্ব দেই।
কোয়াড নেতারা আবার নিশ্চিত করেন, আফগান ভূখণ্ড কোনো দেশকে হুমকি বা আক্রমণ করতে বা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় বা প্রশিক্ষণ দিতে অথবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা বা অর্থায়নে ব্যবহার করা উচিত নয়।তারা আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আফগান জনগণের সমর্থনে আমরা একত্রিত। যারা আফগানিস্তান ছাড়তে চায় তাদের নিরাপদে দেশ ছাড়তে দেওয়ার আহ্বান জানাই তালেবানদের এবং নারী, শিশু ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব আফগানের মানবাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।
আফগানিস্তানসহ পাকিস্তানের প্রতিবেশী বেশ কিছু দেশ এবং আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদকে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয় ও সহায়তা প্রদানের জন্য অভিযুক্ত করে আসছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জাতিসংঘ কর্তৃক নিষিদ্ধ এবং বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত।
পরে প্রধানমন্ত্রী মরিসন সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে তাদের আলোচনা শুরু হয় আফগানিস্তানকে ঘিরেই, বিশেষ করে যারা আফগানিস্তান ছাড়তে চায় তাদের কিভাবে সাহায্য করা যায় সেটা নিয়ে। পরে সেটা তাদের মানবিক কর্মসূচির অংশ হয়ে ওঠে এবং যাতে তারা নিরাপদে চলে যেতে পারে সেজন্য তালেবানদের নজরে রাখার কথাও উঠে আসে।