‘তাকে কোনো কিছু দিয়ে ব্র্যাকেট বন্দী করা সম্ভব নয়’
সব্যসাচী ক্রীড়াব্যক্তিত্ব জালাল আহমেদ চৌধুরীকে স্মরণ
ক্রিকেট ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। যিনি ক্রিকেটের আয়নায় দেখতেন পৃথিবীকে। সেই ক্রিকেটপাগল মানুষটি ২২ গজের অকৃত্রিম প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতেই হুট করে সবাইকে কাঁদিয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর চিরবিদায় নিয়েছেন।
সব্যসাচী ক্রীড়াব্যক্তিত্ব প্রয়াত জালাল আহমেদ চৌধুরীর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার বাংলাদেশ স্পোর্টস জর্নালিস্টস এসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) কার্যালয়ে।
বিএসজেএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বিশিষ্ট ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রিয় ক্রীড়া লেখক জালাল আহমেদ চৌধুরীর আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএসজেএ কার্যালয়ে সকাল ১১টা থেকে কুরআন পাঠ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বেলা তিনটা থেকে শুরু হয় স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান। সবশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় বিকাল পাঁচটায়। স্মরণসভায় উপস্থিত থেকে জালাল আহমেদ চৌধুরীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তার বন্ধু কবি সানাউল হক খান, দাবা ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন সুজাউদ্দিন, বিসিবির পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, বিএসজেএর সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল হক, দৈনিক সংবাদের ক্রীড়া সম্পাদক কাশিনাথ বসাক, কালের কণ্ঠের উপ-সম্পাদক মোস্তফা মামুন।

জালাল আহমেদ চৌধুরীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তার বন্ধু কবি সানাউল হক খান বলেন, ‘জালাল আসলে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলো। তাকে কোনো কিছু দিয়ে ব্র্যাকেট বন্দী করা সম্ভব নয়।’
বিসিবির পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি বলেন, ‘বিএসজেএর উচিত হবে জালাল ভাইয়ের সবগুলো লেখাকে একসঙ্গে করার উদ্যোগ নেওয়া। তরুণদের জন্য তার লেখাগুলো উৎসাহ যোগাবে।’