ইউরোপা লিগে নাপোলির বিপক্ষে বার্সার ১-১ গোলে ড্র ছাপিয়ে আলোচনার টেবিলে ফেররান তরেসের জার্সি-কাণ্ড। ম্যাচের প্রথমার্ধে সব ঠিকঠাক থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে নামার পর জার্সিতে স্পন্সর নাইকি ও ক্লাব বার্সার অফিসিয়াল লোগোই ছিল না তরেসের। যা এখন টক অব দ্য টাউন!
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তরেসের জার্সিতে বার্সার লোগো নেই, যা নজর এড়ায়নি কারোরই। বার্সা তরেসের জার্সি বিষয়ে পরিষ্কার কিছু না জানালেও যোগাযোগ মাধ্যমে নেমেছে প্রতিক্রিয়ার ঢল।
একজন দর্শক রসিকতা করে লিখেছেন, ‘মেসি বার্সাকে এতটাই ভেঙে দিয়ে গেছে যে, বার্সা এখন তরেসের জার্সিতে দলের লোগোও বহন করতে পারছে না! এটি দেখে বার্সার জন্য খারাপ লাগছে।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘তরেসকে একটি বৈধ জার্সি দেয়ার সামর্থ্যও নেই বার্সার!’

সমর্থকরা এমনও বলে বসছেন, ‘তরেসের জার্সি দেখে মনে হচ্ছে এটি লা রাম্বলার নিচ থেকে কেনা হয়েছে ও পরে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ধোয়ার পর জার্সি থেকে লোগো ওঠে গেছে।’
ম্যাচে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়লেও শেষে তরেসকে কান্না করতে দেখা গেছে। সদ্যই ম্যানসিটি থেকে বার্সায় এসে জাভিকে হতাশা উপহার দিয়েছেন ২১ বর্ষী স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। অন্তত তিনটি গোল করার সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন।
খেলার শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে গোলের দেখা পাচ্ছিল না জাভির দল। উল্টো ২৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে পোলিশ মিডফিল্ডার পিওর্ট জিলিনস্কি পরীক্ষায় ফেলেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনকে। প্রথম চেষ্টায় স্টেগেন সেটি ঠেকিয়ে দেন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। ফিরতি বলে শট নিয়ে বল জালে জড়িয়ে নাপোলিকে উল্লাসে মাতান জিলিনস্কি।
পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৫৯ মিনিটে বিতর্কিত পেনাল্টি পায় তারা। স্পটকিকে সমতা ফেরান তরেস। শেষপর্যন্ত আরেকটি গোল না এলে সান্ত্বনার ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জাভিকে।