২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচনে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের তৃতীয় দিনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্ণমেন্ট মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন: জাতিসংঘের ই-গভরনেন্স সার্ভেতে প্রথম অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। তালিকায় ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৪তম। বাংলাদেশ এখানে খুব একটা ভালো অবস্থানে না থাকলেও আমরা উন্নতি করছি।
ই-গভর্নমেন্টের মাস্টারপ্ল্যান তৈরিতে দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতা করছে জানিয়ে পলক বলেন: সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে এমন একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন জরুরি ছিল। মাস্টারপ্ল্যান তৈরিতে সহযোগিতা করায় তিনি দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এবং কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সিকে ধন্যবাদ জানান।
পলক আরও বলেন: সরকারের ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, ৬৮টি অধিদপ্তর এবং সরকারি সংস্থাকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য আইসিটি রোডম্যাপ প্রণয়নেও ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সরকার ডিজিটাল মিউনিসিপ্যালিটি সার্ভিস সিস্টেম নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে জানিয়ে পলক বলেন: এর অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ১০টি পৌরসভাকে সম্পূর্ণ অটোমেশনের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, কাউন্সিলরের প্রশংসাপত্র, ট্রেড লাইসেন্স প্রভৃতি সেবা অনলাইনেই পাওয়া যাবে এ সুবিধা চালু হলে। পরবর্তীতে সকল পৌরসভা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আসবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অন সিওং ডু। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল-এর নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার।