প্রিয় তারকাদের জীবন সম্পর্কে জানার আগ্রহের শেষ নেই ভক্তদের। তারকাদের জীবনের নানা গল্প ভক্তদের জানাতে নানা সময়ে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু ডকুমেন্টারি ফিল্ম। তেমনই দশ ডকুমেন্টারি নিয়ে সাজানো হয়েছে এই ফিচার, যেগুলোতে তারকারা জানিয়েছেন তাদের জীবন, সংগ্রাম, মানসিক স্বাস্থ্য এবং নানা ইচ্ছার কথা:
ডলি পার্টন: হিয়ার আই অ্যাম (নেটফ্লিক্স): এই ডকুমেন্টারিতে জনপ্রিয় আমেরিকান গায়িকা ডলি পার্টনের জীবনের গল্প দেখানো হয়েছে। ছোট শহর থেকে এসে তিনি কীভাবে শ্রোতাদের মনে যায়গা করে নিলেন, সেই কাহিনী দেখানো হয়েছে। তার বেশ কিছু অদেখা ফুটেজ আছে। গায়িকার এবং তার বন্ধুদের সাক্ষাতকারও আছে।
অ্যামি (নেটফ্লিক্স): ২০১৫ সালে অস্কার জিতে নিয়েছিল এই ডকুমেন্টারিটি। ব্রিটিশ গায়িকা অ্যামির মিউজিক্যাল ক্যারিয়ার, মাদকের নেশা, পরিবারের সাথে সম্পর্কের অবনতি, বন্ধু, মিডিয়ার সাথে সম্পর্কের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে ডকুমেন্টারিতে। আছে তার সাক্ষাতকারও।
মিস আমেরিকানা (নেটফ্লিক্স): জনপ্রিয় তারকা টেইলর সুইফটের জীবনের ঘটনাগুলো ভিন্ন আঙ্গিকে দেখানো হয়েছে এই ডকুমেন্টারিতে। ‘ইটিং ডিজঅর্ডারে’ ভোগা, মায়ের ক্যানসারের চিকিৎসা, মিডিয়ার নিষ্ঠুরতা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে তার আওয়াজ তোলার বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে এই ডকুমেন্টারিতে।

বিগগি: আই গট অ্যা স্টোরি টু টেল (নেটফ্লিক্স): ক্রিস্টোফার ওয়ালেস ওরফে বি.আই.জি. সম্পর্কে জানতে হলে এই ডকুমেন্টারিটি অবশ্যই দেখা উচিত। এই র্যাপারের বেড়ে ওঠা, বন্ধুত্ব এবং মিউজিকের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠার বিষয়গুলো দেখানো হয়েছে ডকুমেন্টারিতে।
গাগা: ফাইভ ফিট টু (নেটফ্লিক্স): অস্কারজয়ী গায়িকা লেডি গাগার জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, জটিল রোগের চিকিৎসা নেয়া, ঘরোয়া জীবন, টিভি ক্যারিয়ার এবং তারকাখ্যাতি লাভ সম্পর্কে জানতে এই ডকুমেন্টারিটি দেখে নিতে পারেন।
হোমকামিং (নেটফ্লিক্স): গ্র্যামি জিতেছিল এই ডকুমেন্টারিটি। বিয়ন্সের জীবন নিয়ে তৈরি এই ডকুমেন্টারিটি প্রযোজনা ও পরিচালনা নিজেই করেছেন গায়িকা।
বিকামিং (নেটফ্লিক্স): মিশেল ওবামার জীবন নির্ভর ডকুমেন্টারি ‘বিকামিং’। ২০১৮ সালে প্রকাশিত মিশেল ওবামার আত্মজীবনীমূলক বেস্ট-সেলিং বই ‘বিকামিং’ থেকে বেশ কিছু ঘটনা নিয়ে ডকুমেন্টারিটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আছে তার বিভিন্ন শহরে সফরের গল্প।
কাম ইনসাইড মাই মাইন্ড (হটস্টার): হলিউড অভিনেতা রবিন উইলিয়ামস এর জীবন সম্পর্কে আগ্রহ থাকলে এই ডকুমেন্টারিটি দেখে ফেলতে পারেন। বেশ কিছু অদেখা ক্লিপ, তার জীবনের রুটিং, জনপ্রিয়তার পর্দার আড়ালে থাকা জীবনের কিছু করুন ঘটনা নিয়ে এই ডকুমেন্টারি তৈরি করা হয়েছে।
মাইকেল জ্যাকসন’স দিস ইজ ইট (ইউটিউব): ২০০৯ সালের জুলাই মাসের কাম-ব্যাক কনসার্ট ‘দিস ইজ ইট’ নিয়ে মাইকেল জ্যাকসন আতঙ্কে ছিলেন। ঠিকমত পারফর্ম করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। তাই নিয়মিত রিহার্সাল করেছেন। তোরে জোরে প্রস্তুতি চলছিল কনসার্টের। কিন্তু কনসার্টের একমাস আগে জুন মাসে মারা যান তিনি। এই ডকুমেন্টারিতে কনসার্ট জন্য নেয়া প্রস্তুতির কিছু ক্লিপ, ড্যান্সার অডিশন, পোশাক ডিজাইনিং এবং সাক্ষাৎকার আছে।
ব্ল্যাকপিঙ্ক: লাইট আপ দ্য স্কাই (নেটফ্লিক্স): দক্ষিন কোরিয়ার জনপ্রিয় গার্ল ব্যান্ড ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’ রীতিমত ঝড় তুলেছে বিশ্বে। এই ডকুমেন্টারিটে ব্যান্ডটি কীভাবে শুরু হয়েছে, ট্রেনিং সেশন, অজানা অনেক গল্প এবং সাক্ষাতকার আছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস