দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৭৫৭তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১ জন মারা গেছেন। এর ফলে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৯ হাজার ১২৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৬১ জন। শনাক্তের হার দশমিক ৭৮ শতাংশ। আগের দিন রোববার শনাক্ত হয়েছিল ৫৬ জন।
রোববার ১৭তম বারের মতো করেনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৩১ মার্চ থেকে রোববার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এতে টানা চারদিন মৃত্যুহীন থাকার পর আজ একজনের মৃত্যু হলো।
এর আগে ৩ এপ্রিল সপ্তদশ, ২ এপ্রিল ষোড়শ, ১ এপ্রিল পঞ্চদশ, ৩১ মার্চ চতুর্দশ, ২৮ মার্চ ত্রয়োদশ, ২৬ মার্চ দ্বাদশ, ২৫ মার্চ একাদশ, ২৪ মার্চ দশম, ২২ মার্চ নবম, ২১ মার্চ অষ্টম, ১৯ মার্চ সপ্তম, ১৭ মার্চ ষষ্ঠ, ১৬ মার্চ পঞ্চম ও ১৫ মার্চ চতুর্থবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ।
এছাড়াও গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) সাত হাজার ৭শ ৮৭টি পরীক্ষায় ৬১ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দশমিক ৭৮ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ০৯ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৯১ লাখ ৮৭ হাজার ২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৪টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৬৬১টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৮৩১ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৮৪২ জনসহ মোট ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫২ জন সুস্থ হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জন মারা গেছেন। মৃতের মোট সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৩ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছে ২৪ হাজার ৬৯২ জন, যার শতকরা হার ৮৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছে তিন হাজার ৬১৪ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ। বাসায় ৭৮২ জন মারা গিয়েছে, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৬৯। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে ৩৫ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫৯৩ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ১০ হাজার ৫৩০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪৯ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬১ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪২ কোটি ৬৯ লাখের বেশি।