ভারত সফরে রঙিন পোশাকে বাংলাদেশের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ রোববার। দিল্লি, রাজকোট হয়ে নাগপুরে হতে যাচ্ছে টি-টুয়েন্টি সিরিজের ফয়সালা। বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
দিল্লিতে জয় দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশ রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে যাওয়ায় সিরিজে এখন সমতা (১-১) বিরাজ করছে। রোববার যারা জিতবে তারাই হাসবে শেষ হাসি, উচিয়ে ধরবে ট্রফি।
ভারতে যাওয়ার আগে মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় উত্তাল সময় পার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। প্রথম ম্যাচেই জয় ভুলিয়ে দিয়েছে সেসব। আরেকটি জয় এখন পারে টাইগার ক্রিকেটকে সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে। সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ সেদিকেই।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো খেলোয়াড়দের মানসিকতার প্রশংসা করলেন। বললেন, সুযোগ আছে সিরিজ জয়ের। সব বিপত্তি কাটিয়ে দলকে এক সুঁতোয় গাথা গেছে সেটিও বড় স্বস্তির জায়গা তার কাছে।
‘ভারত সফরের আগের সময়টা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু এখন যে অবস্থা তার পুরো কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের। গত দশদিনে তারা যে শক্তি ও অভিপ্রায় দেখিয়েছে তা দুর্দান্ত। নতুন কিছু করতে সবাই সম্মত। তারা বিদেশের মাটিতে খুবই শক্তিশালী একটি দলের বিপক্ষে খেলছে। দুই সপ্তাহ আগে যদি কেউ বলত সিরিজ জয়ের হাতছানি নিয়ে বাংলাদেশ নাগপুরে আসবে, সেটি হয়ত কেউই বিশ্বাস করত না।’
‘আমরা তাই খুবই খুশি। আমাদের সামনে কাল বিরাট এক সুযোগ। ছেলেরা খুবই উজ্জীবিত। দিনশেষে ভারত কিন্তু বিশ্বের সেরা দলের একটি। বাংলাদেশকে কেউ সুযোগ করে দেয়নি। আমরা জানি যদি সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি সুযোগ থাকবে।’
ভারতের মাটিতে ভারতকে সিরিজে হারানোর চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে পারলে সাফল্যের মুকুটে যোগ হবে বড় একটি পালক। আত্মবিশ্বাস নিয়েই তখন নামা যাবে টেস্ট সিরিজে। টি-টুয়েন্টি দলের আট ক্রিকেটার আছেন টেস্ট স্কোয়াডে। স্বাভাবিকভাবেই সাদা পোশাকের খেলায়ও থাকবে টি-টুয়েন্টিতে ভারত-বধের প্রভাব।
বড় সাফল্যের হাতছানি এমন একটা দিনে ১৯ বছর আগে যে তারিখে কিনা প্রথম টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর, ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার সাদা পোশাকে খেলতে নেমেছিল টিম টাইগার্স। টেস্টে ২০ বছরের পথচলা শুরুর দিনে একই প্রতিপক্ষকে এবার সামনে পাওয়া প্রথমবার টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের সম্ভাবনার উপলক্ষ নিয়ে।