জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অবরোধে অচল রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। অপরদিকে পাল্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের উপর আন্দোলনকারীদের হামলার অভিযোগে ওই মানববন্ধন পালন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এরফলে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তবে, গত তিন দিনের মতো বৃহস্পতিবার অনুষদ ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়নি।
কয়েকটি বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো কম। এদিকে, গতকাল সহকারী প্রক্টর প্রভাষক মহিবুর রৌফ শৈবালের উপর হামলার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধন পালন করে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকবৃন্দ। সকাল ১১টায় ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় পুরাতন কলা ভবনের প্রধান ফটকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভবনে ঢুকা নিয়ে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবালের উপর কতিপয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অতর্কিতে হামলা করে। ফলে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। বর্তমানে তিনি সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মানববন্ধন থেকে অভিযুক্ত আন্দোলনকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ড. সোমা মুমতাজ, অধ্যাপক ড. নাইম সুলতান প্রমুখ।
অপরদিকে অভিযোগের ব্যাপারে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র রায়হান রাইন বলেন, ‘তারা মিথ্যাচার করছেন। ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন সহকারী প্রক্টর এসে তাকে টেনে মাটিতে ফেলে দেন এবং সাথে নিজেও পড়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা এ ধরনের মিথ্যাচার করতে পারেন, তারা শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নয়।