চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

চালের দামের সাথে সিন্ডিকেটকেও বাঁধতে হবে

লাফিয়ে বাড়তে থাকা চালের দামে লাগাম টানতে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম ঠিক করে দিয়েছে সরকার। বলতে গেলে, বাধ্য হয়েই সরকারকে এমন কঠোর অবস্থানে যেতে হয়েছে। কারণ কোনো কিছুতেই অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিল না।

মঙ্গলবার খাদ্য ভবনে চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সেই বৈঠকেই নির্ধারণ করা হয়, এখন থেকে মিলগেটে ৫০ কেজি ওজনের ভালো মানের এক বস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি করতে হবে ২৫৭৫ টাকা এবং মাঝারি মানের চাল ২২৫০ টাকা। এর মানে, প্রতিকেজি মিনিকেট চালের দাম হবে ৫১ টাকা ৫০ পয়সা আর মাঝারি মানের চাল ৪৫ টাকা।

Bkash July

এরই মধ্যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চালের দাম বেঁধে দেওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত দামে বাজারে চাল বিক্রি না করলে আগামী ১০ দিনের মধ্যেই সরু চাল আমদানি করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন মন্ত্রী।

আমরা দেখেছি, এবার ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার পরও ক্রমাগত চালের দাম বাড়িয়েছেন কিছু ব্যবসায়ী। দাম বাড়ানোর পেছনেও তাদের সেই অযৌক্তিক দাবি, ‘বাজারে ধানের দাম বেশি’। বেশি দামে চাল বিক্রি না করতে পারলে তাদের লোকসান হয়। শুধু তাই নয়, একই অজুহাতে সরকারের সাথে চুক্তি করার পরও বেশি দাম দাবি করে চাল সরবরাহ করেনি তারা। অর্থাৎ বেশি মুনাফার জন্য তারা জনগণ ও সরকারকে জিম্মি করার চেষ্টা করেছে।

Reneta June

অথচ দেশে মহামারী চলছে। যখন চাল ব্যবসায়ীদের মানবিক হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ ছিল, ঠিক তখনই তাদের অমানবিক মুখ দেখে মানুষ ভীত-আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে চালের দাম বাড়িয়েছে কেজি প্রতি অন্তত পক্ষে ৮ থেকে ১০ টাকা। অথচ দেশে ধান-চালের সরবরাহ পর্যাপ্ত।

নিজের এলাকার তথ্য দিয়ে দেশের অন্যতম বড় চাল ব্যবসায়ী খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, একশ্রেণির অসাধু চালকল মালিক অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুত করে রেখেছে। তাতেই বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে। তিনি নিশ্চয়ই না জেনে এমন মন্তব্য করেননি?

আমাদের প্রশ্ন খাদ্যমন্ত্রীর কাছে এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকার পরও কেন সেইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন না? শুধু কি চালের দাম ঠিক করে দিলেই বাজার স্থিতিশীল হবে?

আমরা মনে করি, চালের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া যেমন একটি ভালো পদক্ষেপ, তেমনি আরও কিছু উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতেই হবে। না হলে একই কাজ বারবার করবে তারা।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View