
৫২ বছরেও চাঁদপুরের পাবলিক লাইব্রেরির জন্য কোনো স্থায়ী অবকাঠামো হয়নি। শহরের শেষ প্রান্তে ভাড়া বাড়িতে চলা পাবলিক লাইব্রেরিতে বিষয়ভিত্তিক বই খুবই কম। জ্ঞান-বিজ্ঞান-সাহিত্য নিয়ে আলোচনার এ কেন্দ্রবিন্দুর নানা দুরবস্থা।
সরোজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনা নদীর মোহনায় চাঁদপুর শহরের একেবারে শেষ প্রান্তে জেলার প্রধান গণগ্রন্থাগার চাঁদপুর পাবলিক লাইব্রেরি। খুব বেশি মনোযোগ না দিলে জানাশোনার বাইরে কারোরই চোখে পড়বে না লাইব্রেরিটি।
ভেতরে পরিপাটি লাইব্রেরিটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও পাঠক মাত্র কয়েকজন। কিছু ছাত্র নিয়মিত আসলেও ছাত্রীরা আসে না বললেই চলে। লাইব্রেরীতে আসা একজন বলেন, এখানে অনেক বইয়ের ঘাটতিও আছে সব বই পাওয়া যায়না।
আরেকজন বলেন, আমি এখানে সাধারণত পত্রিকা পড়তে আসি বই সাধারণত পড়া হয় না।

প্রতিটি পাবলিক লাইব্রেরিতে শিশু কর্নার, প্রতিবন্ধি কর্নার থাকার নিয়ম থাকলেও এখানে তার বালাই নেই। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ২০ হাজারের বেশি বই আছে কিন্তু কোনো ক্যাটালগ নেই।
বুক শেলফের অভাবে চাঁদপুরের ঐতিহাসিক প্রমাণপত্রসহ পুরনো বইগুলো রাখা হয়েছে বান্ডিল বেঁধে। আর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বই পাওয়াটা এখনো সৌভাগ্য বিষয়। একজন পাঠক বলেন, এই লাইব্রেরিটা এখানে উপযুক্ত স্থানে হয় নাই। এখানে একদিকে যেমন পাঠক কম অপরদিকে এখানকার কথা অনেকেই জানে না ও চেনে না।
দ্রুত নিজস্ব জায়গায় স্থানান্তরসহ জেলার প্রধান এ লাইব্রেরিকে পাঠকদের কাছে পরিচিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান গ্রন্থাগারিক। চাঁদপুর পাবলিক লাইব্রেরির জুনিয়র গ্রন্থাগারিক ইকবাল আহমেদ বলেন, চাঁদপুরের এ লাইব্রেরি ভবন ভা্ড়ার জায়গায় হওয়ায় বই রাখার জায়গা না থাকায় আমরা ঠিকভাবে রাখতে পারিনা।
অনান্য জেলায় এমন লাইব্রেরীতে ৩০ হাজার বই থাকে বলেও জানান তিনি।
জমি অধিগ্রহণে জটিলতা কাটিয়ে দ্রুতই লাইব্রেরিটির পরিসর বাড়ানোর জোর দাবি চাঁদপুরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, লেখক-পাঠক সবার।