চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

চল্লিশের পরে কোমরের মেরুদন্ডের ক্ষয়

KSRM

মানুষের মেরুদন্ডকে মেডিকেল পরিভাষায় কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমন- ঘাড়ের অংশটুকু সারভাইক্যাল স্পাইন, পিঠের অংশকে থোরাসিক স্পাইন, কোমরের অংশকে লাম্বার স্পাইন ও কোমরের নিচের অংশকে সেকরাল স্পাইন বলে।

মানুষের মেরুদন্ড সবচেয়ে বেশী নড়াচড়া হয়। দুইটি অংশে ঘাড় বা সারভাই ক্যাল স্পাইন ও কোমর বা লাম্বার স্পাইন। যেহেতু লাম্বার স্পাইনে মুভমেন্ট বা নড়াচড়া বেশী হয়, এর ফলে মেরুদন্ডের এই অংশে হাড়ের ক্ষয় ও বেশী হয়ে থাকে। কোমরের মেরুদন্ডের এই ক্ষয় হয়ে যাওয়াকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় লাম্বার স্পনভাইলোসিস বলা হয়।

Bkash July

চল্লিশোর্ধ নারী পরুষ উভয় এই রোগে বেশি ভুগে, তবে মেয়েরা এই রোগে বেশী ভুগে থাকে কারণ হরমোনজনিত কারণে চলি¬শের পর মেয়েদের হাঁড়ের ক্ষয় দ্রুত হয়ে থাকে।

রোগের লক্ষণ
১.কোমর ব্যাথা, ২. ব্যাথা কোমর থেকে পায়ের দিকে ছড়িয়ে যায়, ৩. পায়ে ঝিন ঝিন অবশ অবশ অনুভূতি হয়, ৪. পায়ের শক্তি কমে আসে, ৫. অনেক ক্ষেত্রে পায়ে জ্বালাপোড়া অনুভব করেন।

Reneta June

রোগ নির্ণয়:
এক্ষেত্রে বয়স পেশা বা কাজের ধরন ও রোগের ইতিহাসে রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে পাশাপাশি, লাম্বার স্পাইনের এক্স-রে ও বোন মিনারেল ডেনগ্রিটি দেখার প্রয়োজন পড়ে।

চিকিৎসা ও করণীয়:
এই রোগের যে সমস্যা দেখা যায় তা হলো কোমরের মেরুদন্ডের হাড় কিছুটা ক্ষয় হয় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে কশেরুকার প্রান্তগুলোতে নতুন হাড়ের সৃষ্টি হয়। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় অষ্টিওফাইট বলে এবং মেরুদন্ডের দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী স্থানের দূরত্ব বা ডিক্স স্পেস কমে যায়। এই দূরত্ব বাড়ানোই হলো চিকিৎসা যার জন্য চাই সঠিক ‘ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা’ এবং কিছু থেরাপিউটিক বা চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যায়াম যা পরবর্তীতে ডিক্স স্পেস কমে যাওয়া প্রতিরোধ করবে।

I Screen Ami k Tumi
Labaid
Bellow Post-Green View