গুয়াতেমালায় আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও উদ্গীরণে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনশ’র বেশি মানুষ।
বিবিসি জানিয়েছে, গুয়াতেমালা সিটি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরিত হয়ে লাভা ছড়িয়ে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
গুয়াতেমালার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (কনরেড) জানিয়েছে, লাভার স্রোত এল রোদেও গ্রামে আঘাত হানায় সেখানকার অধিকাংশ বাড়িঘর পুরে গেছে। কনরেড প্রধান সার্জিও কাবানাস লাভার এই স্রোতকে তার ব্যাপকতার জন্য ‘লাভার নদী’ বলে উল্লেখ করেছেন।
পার্শ্ববর্তী লা লিবারতাদ গ্রামেরও একই অবস্থা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে কাবানাস বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত এল রোদেও লাভার নদীর নিচে ডুবে গেছে। আমরা এখনো লা লিবারতাদ গ্রামের কাছে পৌঁছাতে পারিনি কারণ সেখানেও ইতোমধ্যে লাভা ছড়িয়ে পড়েছে আর সম্ভবত মানুষ মারা গেছে সেখানেও।’
কনরেডের এক কর্মীও লাভার আক্রমণে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন কাবানাস।
আক্রান্ত এলাকাগুলো থেকে পালিয়ে বেঁচে আসা লোকজনের আশঙ্কা, নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে। উদ্ধার হওয়া প্রত্যক্ষদর্শী কনসুয়েলো হার্নান্দেজ বলেন, ‘সবাই পালাতে পারেনি। আমার মনে হচ্ছে লাভায় তাদের কবর হয়ে গেছে।’
তীব্র ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে গুয়াতেমালা সিটির লা অরোরা বিমানবন্দর আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় জাতীয় জরুরি সহায়তা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস।
১৯৭৪ সালের পর এটাই সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি উদ্গীরণ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা।