বিজ্ঞাপন
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার একজন নারী শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ জনের মধ্যে ২ ব্যক্তিকে খালাস এবং ৪ জনকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ডেথ রেফারেন্স ও আসামীদের আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেন।
রায়ে সাজা কমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আশিকুর, ইলিয়াছ, রুমিন ও রবিন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমেদ হিরো।
আসামীদের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে। এই বিবেচনায় তাদের সাজা কমিয়ে রায় দেয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
২০১৩ সালের ২৩ মে দুপুরে পলাশ উপজেলার বাগপাড়া এলাকার ওই নারী শ্রমিক কাজ শেষে একই এলাকায় কারখানার মেসে ফিরছিলেন। জনতা পাটকলের ফটকের সামনে পৌঁছালে আসামীরা তাকে জোর করে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে আশিকুর, ইলিয়াছ, রুমিন, রবিনসহ ছয়জন তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে পলাশ থানায় ছয়জনের নাম বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আহাম্মদ ধর্ষণের দায়ে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দেন।
বিচারিক আদালতের সে দণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হয়ে হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে আসামীরা রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন।
বিজ্ঞাপন