খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসিক সঙ্কট সমাধানসহ কয়েক দফা দাবির পক্ষ নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তিন শিক্ষককে দেয়া ‘চূড়ান্ত নোটিশের বিরুদ্ধে’ বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই তিনজন শিক্ষককে প্রতিহিংসাপরায়ণভাবে শিক্ষকতা পেশা থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের (আবাসন-সংকট সমাধানসহ অন্যান্য দাবি-দাওয়া) প্রতি সংহতি প্রকাশ যেকোন শিক্ষকের সাধারণ কর্তব্যবোধের পরিচায়ক। আর ওই শিক্ষকরা সেটাই করেছিলেন।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়: সাধারণ শিক্ষকসুলভ আচরণকে কর্তৃপক্ষ যে বারংবার প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে, তার থেকেই আমরা বুঝতে পারি কর্তৃপক্ষের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য সমন্ধে। শিক্ষার্থীরা তাদের মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে দাবি-দাওয়া পেশ করতে পারেন এবং কর্তৃপক্ষ সাধ্যানুযায়ী সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন। কর্তৃপক্ষের অপারগতার জায়গাগুলোতে দফায় দফায় আনুষ্ঠানিক পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থা করাও প্রশাসনিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সংলাপ বরাবরই প্রশাসকদের সক্ষমতা ও সদিচ্ছার উপর নির্ভর করে।

বিবৃতিতে বলা হয়: ‘‘ওই তিন শিক্ষককে পাঠানো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের চিঠির ভাষা মনোযোগ দিয়ে পাঠ করলে এটা বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয় যে তারা ওখানে অগণতান্ত্রিক, অস্বচ্ছ ও সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা কায়েম রাখার পক্ষে। চিঠিতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের (আবাসন-সংকট সমাধানসহ অন্যান্য দাবি-দাওয়া) প্রতি সংহতি প্রকাশ করাকে ‘অস্বাভাবিক’, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘অবমাননাকর’, ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ – হিসেবে চিহ্নিত করে শিক্ষকদের সাধারণ শিক্ষকসুলভ আচরণকে কর্তৃপক্ষ যে বারংবার প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে, তার থেকেই আমরা বুঝতে পারি কর্তৃপক্ষের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য নিবর্তনমূলক।
আমাদের দুর্ভাগ্য যে, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বসূরি শিক্ষকবৃন্দ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অখণ্ড স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করে যেতে পারেননি। এটাও পরম পরিতাপের যে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বসূরি শিক্ষক-প্রশাসকেরা স্বায়ত্তশাসনের নজির থাকা সত্ত্বেও ‘সরকারী কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য বিধিবিধান’ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনে সন্তোষ খুঁজে পেয়েছিলেন। আর এটা চরম পরিহাসের যে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘রাজনীতিমুক্ত’ তকমা নিয়ে গর্ব বোধ করে আর লাগাতার কর্তৃত্ব-শালী ‘রাজনৈতিক’ ক্ষমতা চর্চা করে থাকে। আমরা সুনিশ্চিত যে, তিনজন শিক্ষক ও দুইজন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ অসৎ-উদ্দেশ্য ও ব্যক্তি-স্বার্থ থেকে প্রেষিত, হারজিতের গোঁয়ার্তুমি থেকে উত্থিত এবং ক্যাম্পাসের ‘রাজনৈতিক’ দাবা খেলার ফলাফল।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্যবৃন্দ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের এই হিংস্র ও স্বার্থান্বেষী তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর ও অপ্রশাসকসুলভ এই হঠকারিতার রাস্তা ত্যাগ করেন। অনতিবিলম্বে দুজন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং তিনজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অত্যাচার বন্ধ করে তাঁদের স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন।’’
স্বাক্ষরকারী শিক্ষকরা হলেন:
১। জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, সহকারী অধ্যাপক বাংলা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ-৮১০০
২। মানস চৌধুরী, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৩। মোঃ কামরুল হাসান, অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪। সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৫। সুস্মিতা চক্রবর্তী, অধ্যাপক, ফোকলোর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৬। আইনুন নাহার, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৭। নাসরিন খন্দকার, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৮। সৌভিক রেজা, অধ্যাপক, বাংলা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৯। আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১০। আরাফাত রহমান, প্রভাষক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১১। আব্দুল্লাহ বাকী সহকারী অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১২। কাজী মসিউর রহমান সহকারী অধ্যাপক ইংরেজি বিভাগ বশেমুরবিপ্রবি, গোপালগঞ্জ
১৩। মনিরা শরমিন জেষ্ঠ্য প্রভাষক সাংবাদিকতা ও গনমাধ্যম যোগাযোগ গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
১৪। সুকান্ত বিশ্বাস সহকারী অধ্যাপক ইংরেজি বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
১৫। হাবিবুর রহমান সহকারী অধ্যাপক ইংরেজি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৬। মির্জা তাসলিমা সুলতানা অধ্যাপক নৃবিজ্ঞান বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৭। আরিফুজ্জামান রাজীব সহকারী অধ্যাপক ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বশেমুরবিপ্রবি।
১৮।জায়েদা শারমিন অধ্যাপক পলিটিক্যাল স্টাডিজ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯। কাজী মামুন হায়দার সহকারী অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
২০। মাহমুদুল সুমন অধ্যাপক নৃবিজ্ঞান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২১। আ-আল মামুন সহযোগী অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
২২। রুশাদ ফরিদী সহকারী অধ্যাপক অর্থনীতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২৩। সামিনা লুৎফা সহযোগী অধ্যাপক সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২৪। নুরুজ্জামান সহযোগী অধাপক ইংরেজি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
২৫। প্রিয়াংকা কুন্ডু প্রভাষক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রোফেশনালস
২৬। কাজী শুসমিন আফসানা সহযোগী অধ্যাপক নাট্যকলা বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
২৭। মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান অধ্যাপক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২৮। জপতোষ মন্ডল সহকারী অধ্যাপক ইইই বিভাগ বশেমুরবিপ্রবি, গোপালগঞ্জ
২৯। রাইসুল ইসলাম সৌরভ সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আইন বিভাগ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
৩০। গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩১। মার্জিয়া রহমান সহকারী অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩২। সফিকুন্নবী সামাদী অধ্যাপক বাংলা বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৩৩। ফাহমিদুল হক অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৪। তপন মাহমুদ সহকারী অধ্যাপক সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
৩৫। আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রফেসর ইংরেজি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৩৬। কাজী শুসমিন আফসানা সহযোগী অধ্যাপক নাট্যকলা বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৩৭। মাইদুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক সমাজতত্ত্ব বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৩৮। বখতিয়ার আহমেদ অধ্যাপক নৃবিজ্ঞান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৩৯। কাজী রবিউল আলম সহযোগী অধ্যাপক নৃবিজ্ঞান বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৪০। তাসনীম সিরাজ মাহবুব সহযোগী অধ্যাপক ইঃরেজী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪১। কাজী মারুফুল ইসলাম অধ্যাপক উন্নয়ন অধ্যয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪২। মাহবুবুল হক ভূঁইয়া সহকারী অধ্যাপক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৩। মাসউদ ইমরান মান্নু অধ্যা পক প্রত্নতত্ত্ব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যাশলয়
৪৪। কাজলী সেহরীন ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৫। আসিফ মোহাম্মদ শাহান, সহযোগী অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৬। ড. মো. আমিরুল ইসলাম (কনক), সহযোগী অধ্যাপক, ফোকলোর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৪৭। Nasir Uddin Ahmed, সাবেক চেয়ারম্যান, ইংলিশ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
৪৮। দীপ্তি দত্ত, সহকারী অধ্যাপক, প্রাচ্যকলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৯। ফারহা তানজীম তিতিল, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
৫০। মোহাম্মদ আজম, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৫১। মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক, লোক প্রশাসন, বশেমুরবিপ্রবি, গোপালগঞ্জ
৫২। আর রাজী, সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৫৩। শামীমা আক্তার, প্রভাষক, বাংলা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৫৪। রাকিবুল হাসান খান, সহযোগী অধ্যাপক (বর্তমানে শিক্ষাছুটিতে), ইংরেজি, ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়
৫৫। আলমগীর মোহাম্মদ, প্রভাষক, ইংরেজি, বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
৫৬। সায়েমা খাতুন, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৫৭। জীবন কৃষ্ণ মোদক, সহকারী অধ্যাপক, ইলেকট্রনিকস এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
৫৮। বিভূতি সরকার, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ
৫৯। শেহরীন আতাউর খান, সহকারী অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
৬০। Shapan Adnan, Professorial Research Associate, Development Studies SOAS, University of London
৬১। সৌম্য সরকার, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
৬২। মৌমিতা রায়, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৬৩। রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬৪। তাসমিয়াহ তাবাসসুম সাদিয়া, প্রভাষক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস
৬৫। দিপংকর কুমার, সহকারী অধ্যাপক, গণিত বশেমুরবিপ্রবি
৬৬। নাসির উদ্দিন, প্রভাষক, রসায়ন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়