চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

‘কয়েক দশকের মধ্যে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে ওঠতে পারে বঙ্গোপসাগর’

প্লাস্টিকসহ নানা দূষণের কারণে আগামী ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে বঙ্গোপসাগর ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে ওঠতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সমুদ্র বিজ্ঞানীরা।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট (বুরি) মিলনায়তনে ‘সমুদ্র রক্ষা, পুনর্গঠন ও টেকসই ব্যবহারের জন্য সমুদ্রসাক্ষর জাতি গঠনের গুরুত্ব’ বিষয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা এমন তথ্য জানান।

Bkash July

সেমিনারে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা বলেন, সমুদ্র সম্পর্কে আমরা সচেতন না হওয়ায় দিন দিন নানাপ্রকার দূষণ বাড়ছে, এতে করে সার্বিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। পর্যটন এলাকায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করার তাগিদ দেয়া হয় সেমিনারে।

এসব কারণে জনগণের মাঝে সমুদ্র সংক্রান্ত জ্ঞান ছড়িয়ে দিয়ে একটি সমুদ্রসাক্ষর জাতি আমরা সমুদ্রকে রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

Reneta June

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্থলভাগের চেয়েও বড় ভূ-খণ্ড হল বঙ্গোপসাগর। দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ সাগরের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই জন্য পাঠ্যপুস্তকে সমুদ্র সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে সমুদ্র স্বাক্ষর করতে না পারলে পৃথিবীকে রক্ষা করা যাবেনা। পৃথিবীকে সুরক্ষিত করতে হলে আগে সাগরকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে।

বৃহস্প্রতিবার সকালে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ও মৎস্য অনুষদের ডিন ড. রাশেদউন্নবী রাফি ও নৌ-বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত চিফ হাইড্রোগ্রাফার শেখ মাহমুদুল হাসান।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট ও সমুদ্র সংক্রান্ত জ্ঞান প্রচারকারী সংগঠন অক্টোফিনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুল আলম, সহকারী অধ্যাপক ড. মো. সাইদুল ইসলাম সরকার ও ড. এনামুল হক। আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাইদ মোহাম্মদ শরিফ ও ওশানোগ্রাফি বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া, অক্টোফিনের মোসাম্মত ইসরাত জাহান, সানজিলা শারমীন, প্রমূখ।

সেমিনারে বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক সমুদ্র দূষণের কারণে বঙ্গোপসাগরের পানিতে নানা ধরনের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সমুদ্র রক্ষায় একটি সঠিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সমুদ্র দূষণ বন্ধে পর্যটন এলাকায় ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধেরও পরামর্শ দেন বিজ্ঞানীরা।

সেমিনারে পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে গত ২ বছর ধরে কক্সবাজার উপকুলে কাছিম আসছে না জানান, নেকমের ব্যবস্থাপক সমুদ্র বিজ্ঞানী আবদুল কাইয়ুম।

সাগরের পানিতে মাইক্রোবায়াল পলিউশন বা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূষণ বেড়ে যাওয়ার কারণে পর্যটন শিল্পও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন ড. ওয়াহিদুল আলম ।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View