
২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের অর্জনে ক্রিকেটই দেখিয়েছে সাফল্যের পথ। ফুটবলে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ কিংবা অনূর্ধ্ব-১৪ বালিকাদের এশীয় স্তরের সাফল্য প্রমাণ করে এগোচ্ছে ফুটবলও।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল। আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে কোয়ার্টারে ভারতের সাথে হারেও মাথা-উচুঁ টিম-টাইগার্সের। তার নেতৃত্বেই বছরজুড়ে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের স্মরণীয় ঘটনা রয়েছে।
হোমে পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে ওডিআইয়ে হোয়াইটওয়াশ, ভারত ও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ এ দুটি সিরিজ জয়। বছর জুড়ে ১৮ ওয়ানডে’র ১৩টিতে জিতে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা এবং এশিয়ার সেরা ওয়ানডে দল বাংলাদেশ।
তরুণ টাইগারদের রাজসিক উত্থানও দেখেছে ২০১৫। টানা সাফল্যে আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে মুস্তাফিজুর রহমান।

ক্রিকেটে মেয়েরাও পিছিয়ে ছিলো না। বাছাইপর্বে রানার্সআপ হয়ে ২০১৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট পেয়েছে টিম টাইগ্রেস।
সাহস দেখিয়েছেন আইসিসির প্রথম বাংলাদেশী সভাপতি আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। অন্যায়ের প্রতিবাদে সভাপতির পদ ছাড়ার সাহসী সিদ্বান্ত নিতে পিছপা হননি এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব। আর নিরাপত্তা শঙ্কায় অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর বাতিল যে যৌক্তিক ছিলো না তা প্রমাণ হয়েছে সফল বিপিএলের পাশাপাশি জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল আর খোদ অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলের বাংলাদেশ সফরে।
২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বে এই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হোম এন্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলা বড় অভিজ্ঞতা ফুটবলারদের জন্য। তবে বিদেশী কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ এবং ফ্যাবিও লোপেজকে বিদায় করে শেষ পর্যন্ত দেশী কোচ মারুফুলের হাতে বাংলাদেশের ফুটবলযাত্রা।
ভারতের কেরালায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ‘টিম-বাংলাদেশ’ এখন কঠিন এক পরীক্ষায়। তার আগে কিশোর ফুটবলে এসেছে সাফল্য। তারুণ্যের জয়জয়কারে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ কিংবা মেয়েদের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ টুর্নামেন্টে শিরোপা জয় দেখাচ্ছে উজ্জ্বল আগামীর প্রতিশ্রুতি।