Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

‘কেবল আমিই মাস্ক-গ্লাভস পরি, যেন আমি ভিনগ্রহবাসী’

করোনাভাইরাস নিয়ে ইংল্যান্ড সরকারের ব্যবস্থা মোটেও পছন্দ হয়নি ইয়ুর্গেন ক্লপের। মহামারী ঠেকাতে দেশটির সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে গুরুত্বের অভাব দেখছেন লিভারপুলের জার্মান কোচ।

মহামারীতে ইউরোপে সর্বপ্রথম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইতালি, পরে স্পেন। এ দুই দেশের মৃত্যুর মিছিল দেখেও সঠিক ব্যবস্থা নিতে না পারায় ধুঁকছে ব্রিটেন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লাখ, মৃতের সংখ্যা ৪২ হাজার পার।

সংক্রমণ শুরুর পর সবরকম খেলাধুলা বন্ধ করে দেয়া হয় ইংল্যান্ডে। পরিস্থিতি যখন চরম মাত্রায়, শঙ্কা জেগেছিল প্রিমিয়ার লিগ বাতিল হওয়ারও। সেটা কাটিয়ে লিগ মাঠে ফিরেছে। দর্শকহীন ভাবে হচ্ছে খেলা।

লিগ যদি বাতিল হতোও, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র কষ্ট পেতেন না জানিয়ে ক্লপ বলছেন তার খারাপ লাগা কাজ করছে ইংল্যান্ডে মৃত্যুর মিছিল দেখে। জন্মভূমি জার্মানি আর ইংল্যান্ডে করোনা মোকাবেলার ভিন্ন ধরন ভাবাচ্ছে তাকে।

‘সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য যদি আমাদের লিগ শিরোপা বাতিল হয়ে যেত, এক সেকেন্ডও কষ্ট পেতাম না। কারণ যে হারে মানুষ মারা যাচ্ছে, তা নিয়ে আমি চিন্তিত এবং এখনো দুশ্চিন্তায় আছি।’

‘আমি এই সরকারকে ভোট দেইনি। এ অন্য মানুষের দেয়া ভোটের সরকার। সমস্যাটা হচ্ছে আমি ইংল্যান্ড এবং জার্মানি দুই জায়গা থেকেই খবর পাই। যদি ভিনগ্রহবাসীরা আমাদের উপর থেকে দেখত, ভাবত আমরা আলাদা গ্রহ থেকে এসেছি।’

‘ব্যক্তিগতভাবে বুঝতে পারছিনা কেনো আমরা খালি মাঠে মাস্ক পরা শুরু করেছি, যেটা অন্য দেশগুলো পাঁচ-ছয় সপ্তাহ আগেই করে ফেলেছে। আপনি চাইলে তর্ক করতে পারেন যে মাস্ক পরার দরকার আছে, কিন্তু অন্য দেশগুলো আগেই মাস্ক পরেছে এবং তাদের মৃত্যুর হার আমাদের চাইতে তুলনামূলক অনেক কম!’

‘যদি আপনি জার্মানিতে মাস্ক ছাড়া বাজার করতে যান, আপনাকে ঢুকতে দেয়া হবে না। মুখে মাস্ক পরে আপনি যেখানে খুশি যান, এমনকি চুল কাটাতেও পারবেন।’

‘আর যখন ইংল্যান্ডে পেট্রোল পাম্পে গাড়ির তেল ভরতে যাই, দেখি আমি একাই মাস্ক আর হ্যান্ডগ্লাভস পরে আছি, যেন আমি ভিনগ্রহবাসী! যতক্ষণ পর্যন্ত কেউ আমাকে না বলছে যে পরিস্থিতি ভালো হয়েছে, ততক্ষণ আমি এভাবেই চলবো।’

Exit mobile version