কাশ্মীর ইস্যুতে আবারও মুখ খুলল ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন ওআইসি। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার আসন বিষয়ে ওআইসি সচিবালয়ের মন্তব্য পছন্দ না হওয়ায় ভারত কড়া জবাব দিয়েছে।
হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে ওআইসির সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা হতাশ যে ওআইসি সচিবালয় আবারও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযৌক্তিক মন্তব্য করেছে।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি কাশ্মীর নিয়ে ওআইসির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, ‘ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ তথা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ওআইসি সচিবালয়ের দাবিকে অতীতের মতো এবারও সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার।’ পাশাপাশি ওআইসিকে ‘সাম্প্রদায়িকতা’ ছড়ানোর পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকতে বলেছে ভারত।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি ডিলিমিটেশন কমিশন জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাশের রিপোর্ট জমা করে। এই বিষয়ে আজকে ওআইসির তরফে একাধিক টুইটে এটা ব্যক্ত করা হয় যে, ভারত নতুন করে রাজনৈতিক সীমা আঁকতে চাইছে জম্মু ও কাশ্মীরে। পাশাপাশি দাবি করা হয়, ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের ডেমোগ্রাফি বদলাতে চায়।
#OIC General Secretariat expresses deep concern over #India’s attempts to redraw the electoral boundaries of the #Indian Illegally Occupied #Jammu and #Kashmir, altering the demographic structure of the territory and violating the rights of the #Kashmiri people. pic.twitter.com/XsUqjEIsLA
— OIC (@OIC_OCI) May 16, 2022
এবিষয়ে ভারত সরকারের তরফে পাকিস্তানের নাম না করে বলা হয়, ‘ওআইসি একটি দেশের ইশারায় ভারতকে নিয়ে সাম্প্রদায়িক অ্যাজেন্ডা চালানো থেকে বিরত থাকা উচিত।’
ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্ট জমার পর এবার জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনের পথ সুগম হয়েছে। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম সেখানে নির্বাচন হবে। ৯০ আসন বিশিষ্ট জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় জম্মু এলাকায় ৪৩টি আসন রয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকায় রয়েছে ৪৭টি আসন। এর আগে জম্মু এলাকায় ছিল ৩৭টি আসন। সেখান থেকে ৬টি আসন বেড়েছে জম্মুতে। তবে কাশ্মীরে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র একটি। পাশাপাশি বেশ কিছু আসন সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।