
কাতার বিশ্বকাপ কী তা হলে ৪৮ দলের? প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছিল রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে থেকেই। কখনো সেই সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছিল, আবার কখনো শোনা যাচ্ছিল কাতার থেকে হচ্ছে না ৪৮ দলের বিশ্বকাপ। কিন্তু স্বয়ং ফিফা প্রেসিডেন্ট প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ৪৮ দলের কাতার বিশ্বকাপ করা নিয়েই।
বুধবার জিয়ান্নি ইনফান্তিনো প্রশ্ন তোলেন, যদি দল থাকে তা হলে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ কেন হবে না? ৩২ দল থেকে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ করা নিয়ে আগে থেকেই কথা হচ্ছিল। সম্প্রতি জানা গিয়েছিল ২০২৬’র যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকোর বিশ্বকাপে দল বাড়িয়ে ৪৮ করা হবে।
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনসের বার্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইনফান্তিনো এই মুহূর্তে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে রয়েছেন। সেখানেই তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিশ্বকাপের দল ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ করা হবে। এটা ২০২৬-এ হবে। এটা কী ২০২২-এ হবে? আপনারা আমাকে জানেন। এটা সম্ভব। এটা সম্ভব। কেন নয়?’
সেখানে ইনফান্তিনো আরও জানান, যদি দল বাড়ে তা হলে এশিয়ার সম্ভাবনাও ৪.৫ থেকে বেড়ে ৮.৫ হয়ে যাবে।

তিনি বারবারই মনে করিয়ে দেন এটা সম্ভব এবং কাতারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনার কথাও বলেন তিনি, ‘আমরা চেষ্টা করতে পারি। সম্ভব এবং উপায় রয়েছে। ওখানকার আরও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলব। আশা এটা সম্ভব হবে। আমরা সব সম চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
যদিও এই মুহূর্তে এসে নতুন করে ১৬টি দল যুক্ত হলে সমস্যায় পড়বে আয়োজক দেশ। তাদের থাকা, তাদের অনুশীলন মাঠ, তাদের যাতায়াত সব মিলে আবার নতুন করে ভাবতে হবে সেখানকার ফেডারেশন তথা প্রশাসনকে।
২০১০ সালে এই ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল কাতারকে। রাজনৌতিক কারণে প্রতিবেশি দেশ সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্তি আরব আমিরাত ও মিশরের মতো দেশের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন কাতারের। যে কারণে তাদেরও সাহায্য নিতে পারবে না।
২০২২ আয়োজক সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা হাসান আল-থাওয়াডি একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, ‘৪৮ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে কাতার ভাবনা-চিন্তা করেছে। তবে বাছাইপর্ব শুরুর আগে নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা পুরো বিষয়টি পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখছি। আশা করছি ভবিষ্যতে একটা ফিডব্যাক দিতে পারব। কিন্তু কোয়ালিফিকেশনের আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও প্রস্তুতি যে পুরোদমে চলছে তা জানাতে ভোলেননি হাসান। তার মধ্য ২০০ বিলিয়ন ডলারের যে বাজেট দেয়া হয়েছিল তাতে কোনো প্রভাব পড়েনি। তিনি বলেন, ‘কাজের গতি নিয়ে আমরা খুশি। ২০২০-২০২১’র মধ্যে আমাদের আটটি স্টেডিয়ামই তৈরি হয়ে যাবে।’
আগামী বছরই ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইনফান্তিনোর বিশ্বাস ২১১টি ফেডারেশনসের মধ্যে ১৮০ জনই তার পক্ষে থাকবে।