শুধুমাত্র কাঁচাপাট কিনতে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনকে (বিজেএমসি) ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিজেএমসির নিয়ন্ত্রাধীন মিলগুলোর জন্য অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা খাত থেকে এ বরাদ্দ দেয়া হয়।
তবে অর্থ বিভাগ থেকে বরাদ্দ এই টাকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিজেএমসিকে বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হবে। শর্তগুলোর হলো- ছাড়কৃত ১০০ কোটি টাকা চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) বিজেএমসির মিলগুলোর জন্য কাঁচাপাট কেনা ছাড়া অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না, সুনির্দিষ্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে, ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব সিএ ফার্মকে দিয়ে অডিট করিয়ে তার রিপোর্ট আগামী তিন মাসের মধ্যে অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে, এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে এবং বিধি বহির্ভূতভাবে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
ছাড় করা অর্থ বিজেএমসির অনুকূলে সরকারি ঋণ হিসেবে গণ্য হবে, যা আগামী পাঁচ বছর পাঁচ শতাংশ সুদে ষান্মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের সাথে বিজেএমসির একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সক্রিয় উদ্যোগ নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এ আইন বাস্তবায়নে অন্যান্য মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করছে। এ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সারা দেশে কাঁচাপাট, বস্তা বা ব্যাগের মজুদ এবং চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এ আইন বাস্তবায়নে বছরে প্রায় ৭০ কোটি পাটের বস্তা প্রয়োজন। সে হিসেবে প্রতি মাসে পাঁচ কোটি ২৫ লাখ ব্যাগ লাগবে। ইতোমধ্যে দুই মাসের প্রয়োজনীয় বস্তা (৭০০ গ্রাম) মজুদ রাখা হয়েছে। আর ৭০০ গ্রাম ওজনের ৭০ কোটি বস্তা তৈরি করতে বছরে ২০ থেকে ২২ লাখ বেল কাঁচাপাটের প্রয়োজন।
এ জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় গত ৩ ডিসেম্বর অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাচাঁপাট রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করেছে। পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ এর ৪ ও ১৩ ধারা মোতাবেক যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ সংক্রাস্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২ নভেম্বর পাট অধ্যাদেশ এর একই ধারা মোতাবেক ৩ নভেম্বর থেকে এক মাস কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।