Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

কলকাতায় ফ্লাইওভার ধসে তৃণমূল-সিপিএম মুখোমুখি

কলকাতার ফ্লাইওভার ধসের ঘটনাটিকে ঘিরে দুই দলের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে কাদা ছোড়াছুড়ি। পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পুরো ঘটনার দায়ভার চাপালেন বামফ্রন্ট সরকারের ঘাড়েই। সিপিএমও অবশ্য কম যায় না। তাদের দাবী, আমরা যদি ভুল কাজই করে থাকি, তাহলে পাঁচ বছরে তারা সেটা শুধরালেন না কেন?

দুর্ঘটনার পরে বৃহস্পতিবার প্রচার কর্মসূচি বাতিল করে কলকাতা ছুটে এসেছিলেন মমতা। পরদিন শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরে গিয়ে তিনি সভা করেন দাঁতন, কেশিয়াড়ি, চন্দ্রকোনা, সবং ও ডেবরায়।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক খবরে জানা যায় দাঁতনে সভায় মমতা মন্তব্য করেন, একটা-দু’টো সেতু করে গিয়েছে। সেগুলোও আজ আমাদের শেষ করতে হচ্ছে। এমন কন্ট্রাকটরি করেছে, এমন টেন্ডার দিয়েছে, সব দুমদাম ভেঙে পড়ছে। মানুষ মারা যাচ্ছে!

রাজারহাটের ব্রিজের কথা উল্লেখ করে মমতা আরো বলেন, আমার তো ভয় লাগে যখন রাজারহাট দিয়ে যাই- কখন ধপ করে না ভেঙে পড়ে! রসুলপুরে একটি বন্দর হওয়ার কথা ছিল। টেন্ডার ছাড়াই সাদা কাগজে বলেছে- পোর্টটা তৈরি করে দিন!

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছে সিপিএমও। দলটির পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, মানুষের রোষে মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে গিয়েছেন! ঘুষ-কাণ্ড দেখার পরে মানুষ এখন হাতেনাতে ঘুষের ফল দেখতে পাচ্ছেন। বিপদে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী এখন খুল্লামখুল্লা মিথ্যা কথা বলছেন!

বাম দলের বানানো নকশায় ভুল থাকলে মূখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরেও সেই ভুল শুধরালেন না কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। পাশাপাশি তাদের বক্তব্য, কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনের প্রচার বইতে বিবেকানন্দ ফ্লাইওভারকে তৃণমূলের কৃতিত্ব বলেই দেখানো হয়েছিল। সেলিমের মন্তব্য, এখন বিপদ হলো বলেই দোষ বামেদের হয়ে গেল! যে অংশ তাড়াহুড়ো করে ঢালাই করতে গিয়ে ভেঙে পড়ল, সেটা তো ইঞ্জিনিয়ারদের নকশায় তৈরি হচ্ছিল না! হচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাণী অনুযায়ী! গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে সিপিএম।

স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, এলাকার কিছু লোক জন আমাকে জানিয়েছিলো, নকশাতেই গোলমাল রয়েছে। সরকারকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু ৬০ শতাংশ কাজ হয়ে যাওয়ায় রাজ্য সরকারের পক্ষে হয়তো তা বদলানো সম্ভব হয়নি। তবে রিমডেলিং করা গেলে ভালো হতো বলেই মনে করেন সুদীপ।

সামনে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একে অন্যকে ঘায়েল করতে ব্যস্ত।

Exit mobile version