মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার ও বায়োএনটেকের করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা তৈরিতে সাফল্যের পেছনের গল্পটা হয়তো অনেকেরই অজানা। তা আসলে জার্মান এক চিকিৎসক দম্পতির অক্লান্ত পরিশ্রমের গল্প। ভ্যাকসিনের এই সাফল্য তাদেরকে নতুন করে আলোচনায় এনে তুলে দিয়েছে শীর্ষ ১০০ জার্মান ধনী ব্যক্তির তালিকায়।
ফাইজারের এমন সাফল্যের প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারেও। গতকালই বায়োএনটেকের শেয়ারের দাম বেড়েছে ব্যাপকভাবে। আর এতেই শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন এ দম্পতি।
এতোক্ষণ যাদের কথা বলা হচ্ছিলো, তারা হলেন; বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা উগুর সাহিন ও তার স্ত্রী ও বোর্ডের মেম্বার ওজলেম টুয়েরেসি।
উগুর সাহিন সম্পর্কে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যতটুকু ওঠে এসেছে তা হলো- তুরস্ক থেকে অভিবাসী হিসেবে জার্মানিতে আসেন সাহিনের বাবা। সেখানে তিনি (সাহিনের বাবা) ‘কোলেন’ গাড়ি প্রস্তুত কারখানায় কাজ নেন। ওখানেই সাহিনের বেড়ে ওঠা। আচরণে খুবই নম্র এবং ভদ্র হিসেবে সাহিন তার কর্মক্ষেত্রে পরিচিত। সব সময় সাধারণ পোশাক পরার পাশাপাশি বাহন হিসেবে একটি বাইসাইকেল রাখেন সঙ্গে।

চিকিৎসক হবার স্বপ্নে বিভোর সাহিন এক সময় হামবুর্গের একটি হাসপাতালে শিক্ষকতার কাজ শুরু করেন। এভাবেই তার পথ চলা শুরু। এমনই এক পর্যায়ে পরিচয় হয় আরেক তুর্কি জার্মান অভিবাসী টুয়েরেসি’র সঙ্গে। দু’জনের স্বপ্ন মিলিয়ে তারপর থেকে শুরু হয় তাদের পথচলা।
শুরুতে ক্যানসার নিয়ে কাজ শুরু করেন তারা। তারা যৌথ প্রচেষ্টায় ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ইমিউন সিস্টেম তৈরিতে কার্যকর টিকা আবিষ্কারে সক্ষম হন। এরপর তাদের পথ চলা উদ্যোক্তা হিসেবে। শুরু করেন ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি।
মার্চে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করেন তারা। সাহিন-টুয়েরেসি এর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ৫০০ জন গবেষকের একটি দল কাজ শুরু করেন।
তার পরের গল্পটা সকলের জানা, যা আশার আলো দেখাচ্ছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সারা বিশ্বকে।
