করোনা সবার স্বাভাবিক জীবনকে অনেক পাল্টে দিয়েছে। এর মাঝে ক্রিকেট ফিরলেও তা আগের মতো স্বাভাবিক নয়। ক্রিকেটাররা জৈব-নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থেকে খেলছেন। পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মিলছে না। এত কড়াকড়ি আর জীবনের ঝুঁকি দেখে হাঁপিয়ে উঠেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এভাবে চলতে থাকলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করার সময় এসেছে বলে মনে করেন বাঁহাতি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।
১১৭ দিন বিরতির পর ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ দিয়ে ফিরেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ আছে অস্ট্রেলিয়ার। দেশে ফিরেই ওয়ার্নার খেলতে যাবেন আইপিএলে। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর আইপিএল খেলার পর ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ অজিদের। ভারতের বিপক্ষে খেলার আগে আছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টও।
অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো খেলা, পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হবেই না ওয়ার্নারের। বাঁহাতি ওপেনার বুঝতে পারছেন এভাবে পরিবার থেকে দূরে থাকাটা তার জন্য সহজ হবে না। পরিবার থেকে যেন দূরে না থাকতে হয় তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে বলেও মনে করছেন।
‘স্ত্রী আর তিন মেয়ে, তাদের কাছে আমি ভীষণ ঋণী, তারা আমার ক্যারিয়ারের বিশাল অংশজুড়ে আছে। আপনাকে সবসময় আগে পরিবার নিয়ে ভাবতে হবে। এমন ঝুঁকির সময়ে আপনার সিদ্ধান্ত নিয়েও ভাবতে হবে।’
এর আগে ২০২১ সালে ভারতে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু ২০২০ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে ২০২১ সালে নেয়া হয়েছে, আর ২০২১ সালের বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেছে ২০২২ পর্যন্ত। এখন ভারতে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ হলে খেলবেন কিনা তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন ওয়ার্নার।
‘অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ায় এখন বিশ্বকাপ হচ্ছে না, এখানে হলে খেলার আর জয়ের জন্য দারুণ একটা ব্যাপার হতো। যেহেতু পিছিয়ে গেছে, ভারতে বিশ্বকাপ হলে আমাকে আবারও ভাবতে হবে।’