করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ধাক্কা ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজ্য হিসেবে টেক্সাসে দশ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। একই ধরনের সংক্রমনের কাছাকাছি রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়াও। নিউ ইয়র্কে একদিনেই আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ।
এ পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্ত ৫ কোটি ২৪ লাখ ছাড়িয়েছে, মৃত্যু ১২ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি; সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৬৬ লাখের বেশি মানুষ।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বিপর্যস্ত পড়েছে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলো। আংশিক ও পূর্ণ মেয়াদে লকডাউনের দিকে ঝুকছে দেশগুলো। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সাইপ্রাসের একাধিক শহরে আংশিক ও পুরোপুরো লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
আগামী ২০ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী রাত দশটার পর সব ধরনের অ্যালকোহল বিক্রি, রেস্টুরেন্ট, নাইটক্লাব ও বার বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী।
স্পেনে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর, দেশটিতে প্রবেশ করতে হলে বিমানবন্দরে সুস্থতার প্রমাণপত্র। সেই সাথে লাগবে করোনাহীন হবার প্রমাণপত্রও।
ইউরোপীয় দেশগুলোতে জনস্বাস্থে আমুল পরিবর্তন প্রত্যাশা করছেন ইউরোপিয় ইউনিয়ন। উন্নত দেশগুলোতেও পর্যাপ্ত স্বস্থ উপাদানের ঘাটতি থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন ইইউ স্বাস্থ কমিশনার বলেন, এটা কখনোই কাম্য নয় যে রাষ্ট্রগুলো নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা নেই।
গ্রীসে জরুরী কোভিড ওয়ার্ডের ৭০ শতাংশ আসন পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর লকডাউন আরও কড়াকড়ি করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রশাসন।