প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা এবং নির্দেশে করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হাসপাতালটি প্রাথমিকভাবে আড়াই মাসের জন্য ভাড়া করা হয়েছে। শুধুমাত্র করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের নিবিড় চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি এখন থেকে ব্যবহৃত হবে।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সমর্থন ও মধ্যস্থতায় স্বল্পতম সময়ে এই হাসপাতালটি আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য ভাড়া ও আয়োজন করার প্রক্রিয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
গত ৫ মে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল এবং ইমপালস হাসপাতালের মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। শীঘ্রই ইমপালস হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা শুরু হবে।
তিনি বলেন: বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর এই উদারতা ও ভালবাসার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষনিক সুচিকিৎসার জন্য আইজিপি বহুমাত্রিক পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন এবং ইউনিট প্রধানদের সময়ে সময়ে নির্দেশনা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ইমপালস হাসপাতাল সংযোজন সেই প্রক্রিয়ার একটি ধারাবাহিক কার্যক্রম।