কানাডায় এখন পর্যন্ত ৭৪৪৮ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৮৯ জন আর সেরে উঠেছেন ১০৯৩ জন। কানাডার সাসকাচুয়ান সিটিতে এই প্রথম দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তাদের দুই জনের বয়স ছিল ৭০।
ঘরে থাকা এবং ব্যক্তিগত দুরত্বে থাকার কারণে কানাডায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার কমছে কি না, চলতি সপ্তাহেই তার ধারণা পাওয়া যাবে বলে কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ আশা করছে ।
কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা ভাইরাসের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
কানাডার চীফ পাবলিক হেল্থ অফিসার ড. থেরেসা ট্যাম রোববার তার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেছেন, অন্টারিও, আলবার্টা এবং কুইবেকের পরিস্থিতির উপর তিনি এবং তার সংস্থা নজর রাখছেন। এই প্রভিন্সগুলোতে কমিউনিটি সংক্রমণের মাধ্যমে করোনার বিস্তৃতি ঘটছে।

তিনি আরও বলেন, বৃটিশ কলম্বিয়ার মতো এই প্রভিন্সগুলোতেও সংক্রমণের হার কমে আসছে কি না, সেটি আমরা দেখার চেষ্টা করছি। এটা মাত্র মার্চের শেষ। কোনো উপসংহারে আসার জন্য এখনি যথাযথ সময় না। কিন্তু ভাইরাসটির গতিবিধি বোঝার জন্য এই সপ্তাহটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গত শুক্রবার বৃটিশ কলম্বিয়া ঘোষণা করেছে, সামাজিক দুরত্ব এবং নাগরিকরা ঘরে থাকার পর সেখানে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। কুইবেকের প্রিমিয়ার সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, মনে হচ্ছে কুইবেকে করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতির হার কমে আসার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার আলবার্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একই দিনে পাঁচজনের নতুন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।এদের মধ্যে দুই জন ক্যালগেরি, দুই জন এডমনটন এবং একজন নর্থ জোনের।
আলবার্টার চীফ মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ডিনা হিন স এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, প্রতিটি মৃত্যুই হৃদয়বিদারক এবং একসাথে এতোগুলো মৃত্যু অনেক কষ্টের। তিনি জনসমাগম পরিহার করে ছুটির এই সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দর সময় কাটানোর পরামর্শ দেন।