কনটেন্টই শেষ কথা, তাই লেখকদের সম্মান করার বিকল্প নেই: আনুশকা
আমি এমন কিছু কনটেন্ট তৈরি করতে চাই যা নতুন পথের সন্ধান দেবে, এমন কিছু যা আগে হয়নি: আনুশকা শর্মা
গেল মে মাসের মাঝামাঝিতে অনলাইন প্লাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে আনুশকা শর্মা প্রযোজিত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘পাতাল লোক’। যা নিয়ে সমালোচক থেকে শুরু করে দর্শক সহ সবাই উচ্ছ্বসিত।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ওয়েব সিরিজটি নিয়ে কথা বলেছেন আনুশকা। একই সাথে জানিয়েছেন তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ক্লিন স্লেট ফিল্মস’ কে নিয়ে নানান পরিকল্পনার কথা। সেই সাক্ষাতকারের কিছু অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলো:
কনটেন্টের মান কেমন হবে তা কি আপনার পেশাগত ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত?
অভিনেত্রী হিসেবে আমার কাজ যেমন দর্শক প্রশংসা করেছেন, প্রযোজক হিসেবেও আমি তেমনটাই প্রশংসা পেয়েছি। এই নিয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। আমি সব সময় মাথায় রেখেছি, যদি আমার নামের সঙ্গে কোনও প্রজেক্টের নাম যুক্ত হয়, তবে সেটা যেন এমন একটা কিছু হয় যা দর্শক দেখতে আগ্রহী হবেন।
সমালোচক ও দর্শক, দুপক্ষই ‘পাতাল লোক’-এর ব্যাপক প্রশংসা করছেন, বিষয়টি প্রযোজক হিসেবে আপনার কেমন লাগছে?
আমি তুলনা নিয়ে ভাবি না কিন্তু আমি খুশি যে এই সিরিজটি বিপুল আলোড়ন তৈরি করেছে এবং আরও একবার প্রমাণ করেছে যে, কনটেন্টই শেষ কথা। এগিয়ে থাকার রাস্তাও সেই একটাই, ভাল স্টোরি টেলিং অথবা উন্নত মানের লেখা। একজন অভিনেত্রী হিসেবেও আমি মনে করি লেখকদের অত্যন্ত সম্মান করা উচিত। যদি ভবিষ্যতেও আন্তর্জাতিক মানের কনটেন্ট তৈরি করতে হয়, তবে এই বিষয়টি আমি মাথায় রাখবো। আমি ভীষণ খুশি যে ‘পাতাল লোক’ এর মত একটি ওয়েব সিরিজের প্রযোজনা করেছি। সামনে আরো ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে।
ওয়েব মাধ্যমের এই সাফল্যটা আপনি কীভাবে দেখছেন?
ওটিটি প্লাটফর্মে যে কোন গল্পকে বিস্তারিতভাবে বলার একটা সুযোগ থাকে, যেটি ফিল্মের ক্ষেত্রে থাকে না। দর্শক যত বেশি সময় ধরে একটা চরিত্রকে দেখবেন, তত বেশি সেই চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম বোধ করবেন। কিন্তু ওটিটি প্লাটফর্মে কী বলতে চাইছি, সে সম্পর্কে অত্যন্ত স্পষ্ট একটা ধারণা থাকতে হবে।
একজন অভিনেত্রী এবং একজন প্রযোজকের ভূমিকা নিয়ে আপনার ভাবনা কী? আপনি কি কোন নির্দিষ্ট ভূমিকাতেই থাকতে চান?
অভিনেত্রী হিসেবে আমি যখনই কোন নতুন চরিত্র প্লে করি তখন চেষ্টা করি সেই চরিত্রটিকে নিজের মধ্যে ধারণ করার। এমনকি সে চরিত্রের মতই নিজের জীবনকে কিছু দিন অতিবাহিত করে থাকি। এতে করে চরিত্রটি পর্দায় খুব সহজে ভালো ভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। একই সাথে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা বাড়ে এবং একপক্ষ থেকে বিচার করার প্রবণতা কমে। সেই জন্যই আমি অভিনয় করতে ভালবাসি। যতদিন আমি হেঁটে চলে বেড়াতে পারব আর কথা বলতে পারব, ততদিন অভিনয় করেই যাব।
আর প্রযোজক হিসেবে আমি নিজেকে এবং আমার সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে পারি। আমি চাই এমন সিদ্ধান্ত নিতে যা বলিষ্ঠ হবে, আলোড়ন তৈরি করবে। আমি এমন কিছু কনটেন্ট তৈরি করতে চাই যা নতুন পথের সন্ধান দেবে, এমন কিছু যা আগে হয়নি, একেবারে স্বতন্ত্র। অভিনেত্রী আর প্রযোজক– দুটো ভূমিকাকেই আমি সমান ভালবাসি। আলাদা করে কোনটি আমার প্রিয় নয়।