চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে, মৃত ১

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের প্রায় দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। তবে অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে এক রোহিঙ্গা রোগী।

এমন প্রেক্ষাপটে এখনও বন্ধ রয়েছে হাসপাতালের কার্যক্রম। বিশেষ ব্যবস্থায় হাসপাতালের বাইরে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে চার শতাধিক রোগীকে।

Bkash July

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান: বুধবার বিকাল ৫ টার পর হাসপাতালের নিচ তলার স্টোর রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সাড়ে ৬ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এতে অক্সিজেনের অভাবে চিকিৎসাধীন এক রোহিঙ্গা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে তার স্বজন নুরুল হামিদ জানিয়েছেন। আর আহত হয়েছে ৫০ জনের বেশি। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও তাদের স্বজন।

Reneta June

হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আগুনের সূত্রপাত কী কারণে তা নিশ্চিত করতে পারেননি। একইসঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলতে পারেননি।

প্রত্যক্ষদর্শী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান: হাসপাতালের নিচ তলার ১২১ নম্বর কক্ষটি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই কক্ষে বিভিন্ন সরঞ্জাম মজুদ রাখা ছিল।

খবর পেয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট, রামু স্টেশনের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

ক্ষয়ক্ষতি এবং আগুনের সূত্রপাত নির্ধারণে তদন্ত চলছে বলে জানান কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শাহীন ও আবদুর রহমান জানান: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি বিভাগ চালু রেখে হাসপাতালের বাইরে রোগীদের বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল চার শতাধিক রোগীকে।

বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করে সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পরে পুরোদমে হাসপাতাল এর চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হবে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন: অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় শহরে দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম জানিয়েছেন: হাসপাতালে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসা পর্যন্ত বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View