Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

ওয়ার্নার বীরত্বের পরও হোয়াইটওয়াশ হলো অস্ট্রেলিয়া

ডেভিড ওয়ার্নার ঝড়ের পরও হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচতে পারলো না অস্ট্রেলিয়া। সাউথ আফ্রিকার ৩২৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩১ রানে হেরেছে অজিরা। টানা পঞ্চম হারে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবেছে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা দল।

বুধবার কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে ৮ উইকেটে ৩২৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতে ৫২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর রাইল রুশোর ১২২ ও জেপি ডুমিনির ৭৩ রানে বড় স্কোরের ভিত পায় স্বাগতিকরা। শেষ দিকে ডেভিড মিলারের ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৩২৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় প্রোটিয়ারা।

সফরকারীদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ক্রিস ট্রেম্যান ও জোয়ে মানে। এছাড়া স্কট বোলান্ড নেন ২টি উইকেট।

বড় স্কোরের জবাবে শুরুটা দারুণভাবে হয় অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু ওপেনিং জুটিতে ২ রান তোলার পর ছন্দ হারায় তারা। তিন রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে এক সময় ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়া অজিদের প্রাণ ফিরিয়েছিলেন ওয়ার্নার। একা হাতেই প্রোটিয়া বোলারদের শাসন করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি।

১৩৬ বলে এই সিরিজের দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের নবম ওয়ানডে শতক করার পথে ১৭৩ রান করেন ওয়ার্নার। কিন্তু ওয়ার্নার রানআউট হওয়ার পর ২৯৬ রানেই থেমে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। আর সেই সাথে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করে সাউথ আফ্রিকা। আর ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর সবচেয়ে বাজেভাবে হারলো অস্ট্রেলিয়া।

সাউথ আফ্রিকার ইমরান তাহির, কাগিসো রাবাদা ও কাইল অ্যাবট ২টি করে উইকেট নেন।

ম্যাচ হারলেও অসাধারণ ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ওয়ার্নার। তবে সিরিজে সর্বোচ্চ রান করলেও তাকে টপকে সিরিজ সেরা হয়েছেন রাইলি রুশো।

Exit mobile version