বোমই ফাটালেন মোহাম্মদ আমির। কথা দিয়েছিলেন তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার যারা ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল, তাদের মুখোশ উন্মোচন করবেন। সেটাই করেছেন সদ্য সাবেক হয়ে যাওয়া পাকিস্তানি পেসার। তার অভিযোগের তীর সব ছুটে গেল দুই স্বদেশি সাবেক ওয়াকার ইউনুস ও মিসবাহ-উল হকের দিকে।
কদিন আগে শ্রীলঙ্কা থেকে পাকিস্তানের সামা টিভিকে সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন আমির। মাত্র ২৮ বছরে অবসরের সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ হিসেবে দোষ দিয়েছিলেন ‘ক্রমাগত মানসিক চাপ ও টিম ম্যানেজমেন্ট’কে। জানিয়েছিলেন দেশে ফিরে জানাবেন বিস্তারিত।
পাকিস্তানে ফিরে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মনের কথা খুলে বলার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন আমির। জানিয়ে দেন বর্তমান টিম ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ, কোচ মিসবাহ ও ওয়াকারের সঙ্গে সমস্যার কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত।
‘এটা কোনো আবেগী সিদ্ধান্ত নয়। অনেক ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘দুজন ব্যক্তি নিয়মিত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, অন্যদের কান ভারী করে আমার সুনাম ধ্বংস করার। তারা বলে বেড়ান, আমি টেস্ট ক্রিকেট না খেলে ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টি খেলতে চাই শুধু টাকার জন্য। তারা আমার সম্পর্কে একটা সারমর্ম দাঁড় করিয়েছেন যে, আমার পেছনে অনেক বিনিয়োগ করা হয়েছে। এখন আমিই পাকিস্তানের হয়ে খেলতে চাচ্ছি না।’
‘অনেক কষ্টে আমার হারানো ইমেজ পেয়েছি, আর তারা দুজন আমার সেই ইমেজ ধ্বংসের জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন।’
২০১০ সালে ইংল্যান্ডে ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর পাঁচ বছর ক্রিকেটের বাইরে থেকে ২০১৫ সালে ফের জাতীয় দলে আসেন আমির। নিজেকে ‘মানসিকভাবে শক্তিশালী’ দাবি করে বলেছেন, কেবলমাত্র নিজের মনের জোরে এতদিন খেলতে পেরেছেন।
বর্তমান ক্রিকেট থেকে ‘ইয়েস বস’ সংস্কৃতি দূর করতে হবে বলেছেন আমির, ‘এই বস সংস্কৃতি ক্রিকেট থেকে দূর করতে হবে। যদি আমায় সম্মান দাও, আমিও তোমায় সম্মান দেবো। সবাই চায় সম্মানের সঙ্গে খেলে যেতে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৫ জনের দলে জায়গা হয়নি আমিরের। দলে জায়গা না হওয়ার দায়টাও টিম ম্যানেজমেন্টকে দিয়েছেন।
‘অবশ্যই কষ্ট পেয়েছি। যদি আমার মাথায় খালি টি-টুয়েন্টি খেলে বেড়ানোর ইচ্ছা থাকতো, মোটেও কষ্ট পেতাম না, কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখাতাম না।’
‘তারা (টিম ম্যানেজমেন্ট) বলে আমার সঙ্গে তাদের কোনো সমস্যা নেই, অথচ সৌজন্য করেও আমার মতো সিনিয়র ক্রিকেটারকে বাদ দেয়ার কারণটা জানায়নি, আমি তাদের কোন পরিকল্পনায় আছি সেটাও না। এভাবেই সবকিছু হয়েছে।’