ভিসা হলেও ফ্লাইট জটিলতায় শেষ পর্যন্ত হজে যেতে পারলেন না সাড়ে চার হাজার বাংলাদেশী। তবে শেষ হজ ফ্লাইটে রওনা হওয়ার আগে ধর্মমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে হজে পাঠানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
এই অবস্থায় হজযাত্রা বাতিল করেন ধর্মসচিব চৌধুরি মোহাম্মদ বাবুল হাসান । এহরামের কাপড় পরেও ফ্লাইটের দরোজা থেকে ফিরে আসেন হজ পরিচালক ড.অাবু সালেহ। শেষ ফ্লাইটে যাওয়ার সময় ধর্মমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এখনো আশাবাদী।
হজ যাত্রীদের অভিযোগ তাদের তারা হজে যাওয়ার অপেক্ষায় কষ্টে আছে। হজে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা যাত্রী বলেন, আল্লাহ যদি আমাদের নিয়ে না যায়, তবে এখানে মৃত্যু ঘটাক। আরেকজন বলেন, সরকারীভাবে যাবো তারপরও ফ্লোরে কেনো আমাদের জায়গা।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, আমি আশা করি যারা এখন পর্যন্ত আটকা আছে আশাকরি আজকেই সকল অনুমতি হয়ে যাবে।
মন্ত্রীকে বিদায় জানাতে এসে হাব সভাপতি বলেছেন, যা করার আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যেই করতে হবে সরকারকে। হাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল বলেন, দুই সরকারের ক্ষেত্রেই সম্ভব এই হাজিদের হজ করানো। যে হাজিরা যেতে পারেননি; সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্য দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।
শনিবারের পর সৌদি আরবে আর কোনো হজ ফ্লাইট অবতরণের সুযোগ রাখেনি সেদেশের সরকার। তারপরও বিশেষ ব্যবস্থায় কয়েকটি ফ্লাইটের জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব মানুষ হজ ক্যাম্পে এসছেন আরো কয়েকদিন আগে। বাড়ির সবার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে এসে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন হজে যাওয়ার। ভিসা হলে হজে যাওয়ার স্বপ্নটা কাছাকাছি এসে যায় গত ২ দিনে। কিন্তু ফ্লাইট না পাওয়ায় ফিকে হয়ে যায় স্বপ্ন।
সাড়ে ৪ হাজার হজযাত্রীর সঙ্গে তাদের আত্মীয়-স্বজন মিলে হজক্যাম্পে নাজুক অবস্থায় আছেন তারা।