চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

এশিয়া কাপ আয়োজনের দৌড়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

আসছে ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ আয়োজনের সূচি আছে। অর্থনৈতিক সঙ্কট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় জর্জরিত দেশটিতে টুর্নামেন্ট হওয়া নিয়ে আছে শঙ্কাও। এমন পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ আয়োজনের দৌড়ে বিকল্প ভাবনায় এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কা বর্তমানে পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহের অভাব এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে সহিংসতা বৃদ্ধির মতো প্রতিকূল পরিবেশের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী জনগণকে ‘তাদের জীবনের সবচেয়ে খারাপ দুই মাসের জন্য’ প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

ভারতের গণমাধ্যমে খবর, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশকেই উপযুক্ত বিবেচনা করছে। যদিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।

দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেও দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা এসিসি সভাপতি জয় শাহকে টুর্নামেন্ট আয়োজনে রাজি করাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার বাস্তবতা মাথায় রেখে এসিসিকে বিকল্প ভেন্যু নিয়েও চিন্তা করতে হচ্ছে।

সংস্থাটির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এই মুহূর্তে একটি বিকল্প এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার আগে এসিসি শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। আগস্টের শেষদিকে এবং সেপ্টেম্বরের শুরুতে ম্যাচ আয়োজনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত অবশ্যই কোনো বিকল্প নয়।’

নিজ দেশে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে আগেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা। বলেছিলেন, ‘ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে বিক্ষোভকারীদের কোনো সমস্যা নেই। তাদের সমস্যা সরকার নিয়ে। তারা টুর্নামেন্টে বাধা দেবে না। কিন্তু প্রশাসনের লোকেরা অত্যন্ত অপেশাদার। তারা ক্রিকেট বোর্ডকে ধ্বংস করেছে। যদি সাবেক ক্রিকেটাররা এশিয়া কাপ আয়োজন উপলক্ষে সাহায্যের প্রস্তাব দেয়, তবুও আমি ভয় পাচ্ছি যে সরকারী কর্মকর্তারা সেই অর্থ নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করবেন। আমার মনে হয় না অর্থনৈতিক সঙ্কটের এই সময় এত বড় আয়োজন করা সম্ভব হবে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।’

এবারের আসরটি হবে ৬ দল নিয়ে। টেস্ট মর্যাদার পাঁচ এশিয়ান দল- বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সরাসরি অংশ নেবে। ষষ্ঠ দলকে আসতে হবে কোয়ালিফায়ার খেলে।