এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ বাংলাদেশে করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে গিয়ে তার সাথে মতবিনিময় করেন ইতো নাওকি।
সে সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীকে বিনিয়োগের এই তথ্য জানান। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর নিশ্চিত করা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার।’
‘‘জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও বাণিজ্য সুবিধা দেয়া হলে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে।’’
বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। তারপর আরও ৫ বছর চলমান বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে জাপানের রাষ্ট্রদূতের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। এখানে বিনিয়োগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। জাপানের তৈরি গাড়ির বড় বাজার বাংলাদেশ। জাপান বাংলাদেশে গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করলে তা লাভজনক হবে।’
জাপানের রাষ্ট্রদূত টিপু মুনশিকে জানান, ‘জাপান বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তাভাবনা করছে। বাংলাদেশের আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে- এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়।’
‘‘জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও জাপান বাংলাদেশকে দেয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে। এ জন্য এফটিএ অথবা পিটিএ করা যেতে পারে।’’
জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। জাপানে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা আছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।’