সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাজন নামের আরেক আসমিকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এ নিয়ে মোট ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।
রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সে সময় রাজনকে সহযোগিতা করায় আইনুল নামের আরেক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব ও ডিবি সূত্রে জানায়, রাজন কচুয়া নয়াটিলা এলাকা এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছেন; এমন খবরে অভিযান চালানো হয়।
পরে রাত ১টার দিকে রাজন ও তার সহযোগি আইনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে সিলেট নিয়ে আসা হয়েছে।
এরআগে রোববার ওই মামলার আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল।
আর নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে আরেক আসামি রবিউলকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ।
রোববার সকালে সিলেট বিভাগের পৃথক দুই স্থান থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান এবং অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। স্বামীকে মারধর করে তাকে ছিনিয়ে ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
স্ত্রীকে বাঁচাতে স্বামী তাদের পিছু পিছু গেলে তাকে বেঁধে রেখে ৫ থেকে ৬ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গণধর্ষণ করে ওই তরুণীকে।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ কলেজের ছাত্রাবাস এলাকা থেকে ধর্ষণের শিকার তরুণী এবং তার স্বামীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরদিন ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের ৯ জন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
তারা হলেন; এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সে শিক্ষার্থী শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, একই শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, ছাত্রলীগ কর্মী এম সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তারেক।
মামলায় ৬ জনকে সরাসরি জড়িত বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্য ৩ জনের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।