এক বছর পেরোলেও মেলেনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকারীর খোঁজ। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ঘাতকদের শনাক্তও করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগে কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর খুনিদের শনাক্ত করতে না পারলেও তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি রয়েছে বলে দাবি করেছিলো সিআইডি। তারপরও আর বেশিদূর এগোয়নি তনু হত্যা মামলা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের পর দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেন তার বাবা।
ময়না তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, ধর্ষণের পর তনুকে হত্যা করা হয়। লাশ উদ্ধারের সময় তিন সন্দেহভাজনকে দৌড়ে পালাতে দেখেছিলেন বলে তনুর বাবা যে দাবি করেছেন তাদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান তদন্তকারীরা।
তনু হত্যার তদন্ত নিয়ে বার বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সোহাগীর পরিবার। তনু হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর লাশ কুমিল্লা সেনানিবাসের অভ্যন্তরের একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরদিন তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। দুই দফায় তদন্তকারী সংস্থা, কর্মকর্তা পরিবর্তন করে গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটি তদন্ত করছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।