
মোস্তফা মনোয়ার সত্যিকার অর্থে ‘বেছে বেছে’ কাজ করেন। কম কাজ করে সঠিক চরিত্র হয়ে পর্দায় হয়ে জীবন্ত হয়ে উঠতে পারেন বলেই হয়তো দর্শক তার অভিনয় এতো পছন্দ করেন। ‘মিস্টার জনি’, ‘লাইফ ফ্রম ঢাকা’, ‘ইতি তোমার ঢাকা’ কিংবা সর্বশেষ ‘লাইট, ক্যামেরা…অবজেকশন’ যারা দেখেছেন তারা বুঝবেন।
চমকপ্রদ খবর হচ্ছে, এবারই প্রথম সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তফা মনোয়ার অভিনীত জোড়া ছবি।
শুক্রবার (১১ মার্চ) ৭টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে রুবাইয়াত হোসেনের পরিচালনায় ‘শিমু’ এবং ২০টি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’। দুটি ছবিতেই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনোয়ার।
একসঙ্গে জোড়া ছবি মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি কাকতালীয় বলে জানালেন মোস্তফা মনোয়ার। তিনি নিজেও এমন হওয়ায় চমকে গেছেন।

চ্যানেল আই অনলাইনকে মোস্তফা মনোয়ার বলেন, ২-৩ বছর পর পর আমার দু-একটা ছবি মুক্তি পায়। কিন্তু শুক্রবার একসঙ্গে দুটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। সত্যি বিষয়টি খুব আনন্দের। আরও ভালো লাগা বিষয় হচ্ছে, দুটি ছবি একেবারে দুই ধরণের। গল্পের প্রেক্ষাপট ছাড়াও অভিনয়ে ভিন্নতা দেখা যাবে।
তিনি বলেন, যে কাজ বা চরিত্রগুলো আমাকে এক্সসাইট করে এবং করার জন্য ভেতরে ভেতরে পীড়া দেয় সেই কাজগুলো আমি করে থাকি। ‘শিমু’ এবং ‘গুণিন’ দুটি তেমনই। একজন অভিনেতা হিসেবে যে কাজ ওন করতে পারি সেই কাজগুলো আমি করি। প্রতিটি কাজ থেকে নিজেকে একটু একটু করে পরিবর্তন করি। যদি কিছু না শিখতে পারি সেই কাজ থেকে আমি তৃপ্তি পাই না।
দেশে নারীর ক্ষমতায়নে ও আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে পোশাকশিল্পের যে ভূমিকা আছে সেই আলোকে দৃঢ়চেতা নারী পোশাক শ্রমিকদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প বলা হয়েছে ‘শিমু’ ছবিতে। এখানে শিমুর স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেন মোস্তফা মনোয়ার।
অন্যদিকে গুণিন ছবিতে গুণিনের তিন নাতীর মধ্যে একজনের চরিত্র করেন মোস্তফা মনোয়ার। এই ছবির একটি দৃশ্যের জন্য তিনি শুটিংয়ে কাদায় গড়াগড়ি খেয়ে মারামারি করেছেন। জানালেন, এজন্য লম্বা সময় কাদামাখা ভূতের মতো হয়ে ছিলেন।