খুলনার দাকোপ উপজেলার চারদিকে পানির প্রাচুর্যতা থাকলেও বিশুদ্ধ ও নিরাপদ সুপেয় খাবার পানির জন্য সংগ্রাম নিত্য দিনের। তাই উপকূলীয় এ এলাকার অধিকাংশ মানুষকে নির্ভর করতে হয় পানির নানা বিকল্পে। এই বিকল্প যেন তাদের জন্য রীতিমত সংগ্রাম। দু’বছর আগে চ্যানেল আই অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য জানা গিয়েছিল।
চ্যানেল আইয়ে আজকের একটি প্রতিবেদনে জানা গেল ভিন্ন তথ্য। সেই প্রতিবেদনে জানা যায়, মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ন প্রকল্পে শতভাগ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মাধ্যমে জলবায়ু উদ্বাস্তু ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে জীবনধারণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, দুর্যোগপ্রবণ প্রকৃতিতে লবণাক্ত ও অনিরাপদ পানি খেয়ে নানা রোগ বালাইয়ে জীবন কেটেছে খুলনার দাকোপের আনজুয়ারা বেগমের। নদীপাড়ের ঝুপড়ি ঘরে থেকে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সুবিধা ছিল কল্পনার বাইরে। তার মতো গ্লানিকর অভিজ্ঞতা এ অঞ্চলের নারীদের। জীবনের শেষ প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পেয়ে সুখের মুখ দেখার তৃপ্তি তাদের চোখে মুখে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘরের সাথে নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট সুবিধা উপকারভোগীদের জীবনমান এগিয়ে নিয়েছে বহুগুণ। শুধু তাই নয়, উপকূলের আর্সেনিক ও লবণাক্ততা বিবেচনায় গভীর নলকূপ, পানির ট্যাংক ও রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের কারণে দেশজুড়ে ৯ লাখের বেশি মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়েছে।

এর সুফলের কথা স্বীকার করেছেন উপকূলীয় অঞ্চলের সুবিধাভোগী নারীরা। এতে তাদের মুখে ছিল বিজয়ের হাসি। এই সফলতা ধরে রাখতে হবে। একইসাথে শুধু আশ্রয়ন প্রকল্পে নয়, সংকটে থাকা উপকূলীয় অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশনসহ যাবতীয় সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। এজন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
