উইঘুর অধ্যুষিত অঞ্চলে ‘মুলান’র শুটিং, সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কটের ডাক
উইঘুর অধ্যুষিত অঞ্চলে ‘মুলান’র শুটিং করার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা…
ডিজনির লাইভ-অ্যাকশন রিমেক ‘মুলান’ ছবির কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে চীনের শিনজিয়ান প্রদেশে। ছবিটি ডিজনি প্লাসে মুক্তি পাওয়ার পর এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকেই ছবিটি বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
চীনের এই প্রদেশেই ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়কে বন্দীশিবিরে আটক রাখা হয়েছে।
ডিজনি প্লাসে মুক্তিপ্রাপ্ত নতুন এই চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে এটি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির উগ্র জাতিয়তাবাদকে আরো উৎসাহিত করছে।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় সোমবার থেকে। ডিজনি এক অফিশিয়াল বিবৃতিতে জানায় ‘মুলান’ ছবির কিছু দৃশ্য শিনজিয়ান প্রদেশে ধারণ করা হয়েছে। এই সুযোগ দেয়ার জন্য চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ডিজনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয় সমালোচনা। কারণ, শিনজিয়ান প্রদেশে তুর্কি-ভাষী সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমরা বছরের পর বছর ধরে নজরদারী ও দমন-নিপীড়নের মধ্যে বসবাস করছেন। এই প্রদেশে কোনো বিদেশি সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, অন্য দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়না। সেখানে ডিজনিকে বিশেষ অনুমতি দিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। শুধু তাই নয়, কয়েক মাস সেই এলাকায় থেকে সিনেমার শুটিং করার অনুমতিও পেয়েছেন ডিজনির এই ছবির কলাকুশলীরা।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ভালো সম্পর্ক নেই। ট্রাম্পের নির্দেশে চীনকে কঠোর বার্তা দিতে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর দমন-পীড়ন ঠেকাতে কিছুদিন আগে শিনজিয়ান প্রদেশের চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি-সহ বেশ কয়েকজন চীনা কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে মার্কিন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, মার্কিন মুলুকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং আমেরিকান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে ডিজনির সংযোগের বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা এখনও অফিশিয়ালি কোনো মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত জানাননি। তবে আমেরিকার অনেক রাজনীতিবিদই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করছেন। -নিউ ইয়র্ক টাইমস