ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের ১৪ দিনে (২৫ এপ্রিল-৮ মে) সারাদেশে ২৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৫৬ জনই মোটরসাইকেল আরোহী ও চালক বলে জানিয়েছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন। যা মোট নিহতের সংখ্যার বিচারে ৪১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
দেশের ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় সংস্থাটি।

রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত চালক ও আরোহীদের মধ্যে অধিকাংশের (৫১ দশমিক ৪২ শতাংশ) বয়স ১৪ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
বিজ্ঞাপন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়-
১. অন্য যানবাহনের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। ২. মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ৩. অন্য যানবাহন দ্বারা মোটরসাইকেলে ধাক্কা/চাপায় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৯ দশমিক ০৪ শতাংশ। এবং ৪. অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ।
গত বছরের তুলনায় এ বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সাথে প্রাণহানিও বেড়েছে। ২০২১ সালের ঈদুল ফিতর উদযাপনকালে ১২১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৪ জন নিহত হয়েছিল।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের অন্যান্য পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাস যাত্রী ৩২ জন (৮.৫১%), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২০ জন (৫.৩১%), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ যাত্রী ১৫ জন (৩.৯৮%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু) ৭৮ জন (২০.৭৪%), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র) ১৩ জন (৩.৪৫%) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ৮ জন (২.১২%) নিহত হয়েছেন।