নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করতে সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এছাড়াও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল এবং বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার নাম প্রস্তাব করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নামগুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটির পকেটে কী কাগজ আছে, আজকে যদি প্রকৃত নির্বাচন করতে হয়, গণতন্ত্র ফেরত দিতে হয়, জনগণকে ভোটের অধিকার ফেরত দিতে হয় তাহলে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার। বর্তমান আইনে সেই ব্যবস্থা নাই। এমন অবস্থায় অনেক রাজনৈতিক দলই সার্চ কমিটির কাছে কারো নাম প্রস্তাব করেনি।’

‘‘তবে কয়েকটা নাম আপনারা বিবেচনায় আনতে পারেন, সাখাওয়াত হোসেন- আগে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হলে তিনি পথ-ঘাট চেনেন, উনি শক্তভাবে কাজগুলো করতে পারবেন।
তার সঙ্গে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইকবাল করিম ভূঁইয়া, তিনি আজিজ নয়, সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম আছে। বদিউল আলম মজুমদার ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও সুলতানা কামালের মত সত্যিকারের সজ্জন ও সাহসী লোকজনদের কমিশনে আনলে কমিশন কিছুটা বিতর্ক মুক্ত থাকবে।’’
গত ৫ ফ্রেব্রুয়ারি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন- ২০২২’ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কমিটির সদস্য করা হয় হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন এবং অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হককে।
সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তার দায়িত্বে আছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
পরের দিন ৬ ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে নাম আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়। দলগুলোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ আগ্রহী হলে তিনিও নিজের নাম প্রস্তাব করতে পারবেন বলে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন গঠনে নাম চূড়ান্তের করতে সার্চ কমিটির জন্য নির্ধারিত সময় ১৫ কর্মদিবস। কমিটি প্রতিটি পদের জন্য দুটি করে মোট ১০টি নাম সুপারিশ করবে। এরপর রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য চার কমিশনারের নাম চূড়ান্ত করবেন।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হবে।