
ইউক্রেন হামলার চতুর্থ দিনে দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। রাজধানী কিয়েভসহ অন্যান্য শহরে মিসাইল আক্রমণের খবর জানিয়েছে বিবিসি।
এ হামলায় এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের ৬৪ জন বেসমারিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা দ্য অফিস অব ইউনাইটেড ন্যাশনস হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওসিএইচসিআর)।
বিবিসি ওসিএইচসিআর’র প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কমপক্ষে ২৪০ জন সাধারণ নাগরিকের আহত হওয়ার কথা জানায়।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার গৃহহারা মানুষ ইউক্রেন থেকে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দেশ ছেড়েছেন।

রাশিয়ার এ হামলায় প্রায় ৫০ লাখ নাগরিক শরণার্থীতে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউক্রেন সরকার।
রাশিয়ার মিসাইল আক্রমণের সতর্কতায় কিয়েভ বাসীরা ভূ-গর্ভস্থ স্থাপনা সমূহে আশ্রয় নিয়েছে। দেশটিতে সোমবার সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাস্তায় কোন নাগরিককে বের হতে নিষেধ করে বলা হয়েছে, রাস্তায় কোন মানুষে দেখলে তাকে ‘রাশিয়ান ঘাতক’ বলে বিবেচনা করা হবে।
পোল্যান্ড সহ পাশের দেশ মালদোভায় অসংখ্য ইউক্রেনীয় নাগরিককে পালাতে দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলি বলেছে, আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়ান ব্যাংককে সরিয়ে দেবে এবং কার্যকরভাবে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে।
এছাড়া ধনী রাশিয়ানদের ‘গোল্ডেন পাসপোর্ট’ও সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তায় অংশ হিসেবে জন্য অস্ত্র পাঠাচ্ছে বলে জানায় বিবিসি।