দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও’র ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আসাদুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করেছে র্যাব। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে হিলির কালিগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আসাদুলের বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরে। তাকে রংপুরে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদ ফেরদৌস জানান: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র্যাব রংপুরের একটি দল যৌথভাবে শুক্রবার ভোররাত ৪টা ৫০মিনিটে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুল ইসলামকে আটক করা হয়। ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহাঙ্গীর নামের আরও একজনকে আটক করা হয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। নিউরোসার্জন জাহেদ হোসেন জানিয়েছেন: অপারেশনের সময় তার মুখমন্ডলে ৯টি আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা ঠিক করা হয়েছে। আপাতত তিনি আশংকামুক্ত। তবে ৭২ ঘন্টা পর ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলা বলা যাবে।
এ ঘটনায় দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা ইউএনও ওয়াহিদা খানম এবং তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা হাতুড়িসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এই ঘটনায় বোনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামি করে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেছেন ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ।
২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর কর্মস্থলে যোগ দেয়ার পর থেকেই মাদক, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংএর বিরুদ্ধে কাজ করে সবমহলে প্রশংসিত হন ওয়াহিদা খানম।