সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে আগে ব্যাট করে ইংল্যান্ডকে ১৮০ রানের টার্গেট দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ইংলিশরা ১৬২ রানেরই গুটিয়ে গেলে ১৭ রানের জয় নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে সফরকারীরা।
পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ ৩-২ এ জিতেছে উইন্ডিজ।
প্রথম টি-টুয়েন্টিতে ইংলিশদের ১০৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেটের বড় জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করে উইন্ডিজরা। পরের ম্যাচেই ঘুরে দাড়ায় স্বাগতিকরা। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ১ রানের জয় নিয়ে সিরিজে ফেরে ইয়ন মরগানের দল।
তৃতীয় টি-টুয়েন্টিতে ইংলিশদের ২০ রানে হারিয়ে সিরিজে লিড নেয় উইন্ডিজ। যথারীতি পরের ম্যাচে ঘুরে দাড়ায় ইংলিশরা। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মইন আলির কাঁধে চেপে ৩৪ রানের জয় নিয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখে ইংলিশরা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে স্বাগতিকদের ১৭ রানে হারিয়ে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয় উইন্ডিজ।

সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে ব্রিজটাউনে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেই সফরকারীরা। সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে উইন্ডিজদের ভালো শুরু এনে দেয় দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও কাইল মার্য়াস। উইন্ডিজরা ইংনিসের প্রথম উইকেট হারায় ৫৯ রানে। এরপর বাকি ব্যাটাররা এসে মাঝারি মানের ইংনিস খেলে জয়ের বিধ গড়ে দিয়ে যান উইন্ডিজদের। শেষ দিকে এসে উইন্ডিজ অধিনায়ক কাইরেন পোলার্ড ২৫ বলে ৪১ রান করে ফিরলে উইন্ডিজদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৭৯ রান।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট তুলেছেন আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু পায় ইংল্যান্ডও। জেমস ভিন্সে ৫৫ ও স্যাম বিলিংস ৪১ করে ফিরলেও জয়ের পথেই ছিল স্বাগতিকরা। এর পরপরই ছন্দ পতন ঘটে খেলায়। শেষ দিকে ম্যাচের হাল ধরতে পারেনি ইংলিশদের আর কোনো ব্যাটার। ম্যাচের ১৯ তম ওভারে বল করতে এসে প্রথম চার বলে ৪ উইকেট তুলে উইন্ডিজদের জয় সহজ করে দনে হোল্ডার। ফলাফল ১৬২ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় মইন আলির দল।
জেসন হোল্ডার নিয়েছেন ৫ উইকেট। আকিল হোসেইন ফিরিয়েছেন ইংলিশদের ৪ ব্যাটারকে।
পুরো সিরিজে উইন্ডিজদের হয়ে দারুণ পারফর্ম করে সিরিজ সেরার পুরষ্কার জিতেছেন জেসন হোল্ডার।