Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

আর্ম বলেও হাত পাকাচ্ছেন আমিনুল

চট্টগ্রাম থেকে: খেলোয়াড়ি জীবনে আর্ম বলের ‘রাজা’ ছিলেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টরি। সাবেক কিউই ক্রিকেটার কোচ হয়ে বাংলাদেশে এসে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে শিখিয়েছেন তার সেরা অস্ত্রটি। বিপিএলের মঞ্চে সেটি কাজে লাগাতে চেষ্টা করছেন জাতীয় দলের তরুণ এ লেগস্পিনার।

আমিনুল খেলছেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে। ঢাকায় বিপিএল অভিষেকে ভালো করলেও (৪ ওভারে ২৫ রানে ১ উইকেট) চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটে শেষ ম্যাচে ছিলেন বড্ড খরুচে। ২ ওভারে দেন ৩০ রান।

ভারত সফরেও সিরিজের শেষ ম্যাচে একটু বেশি রান খরচ করেছিলেন আমিনুল। ৩ ওভারে ২৯ দিয়ে পাননি উইকেটের দেখা। সঙ্গত কারণেই সাংবাদিকদের জানার আগ্রহ বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে নতুন কিছু করছেন কিনা এ লেগি।

আমিনুল জানালেন আর্ম বলের কথা, ‘আলাদা বৈচিত্র্য বলতে সাধারণত যেটা করি সেটাই করছি। সঙ্গে যেগুলো দেখিয়েছে ভেট্টরি, তার সঙ্গে যেগুলো নিয়ে কাজ করেছি, ওগুলোই আপাতত ম্যাচে ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।’

‘বিশেষ করে আর্ম বলটা, লেগস্পিনের সঙ্গে ভেরিয়েশন হিসেবে আমি যুক্ত করেছি। তারপর টপ স্পিনটা করি।’

লেগস্পিনারদের বৈচিত্র্য বলতে সবাই বোঝেন গুগলি, টপ স্পিন, ফ্লিপার, স্লাইডার। ভেট্টরি চাইছেন বাঁহাতি স্পিনের বৈচিত্র্যটি লেগস্পিনার আমিনুলের মাঝে দেখতে।

লেগস্পিনাররা দ্রুত উইকেট তুলে ম্যাচ জেতায়। কখনো আবার ছক্কা-চার হজম করে খরচ করে প্রচুর রান। সুমময়-দুঃসময় হাত ধরাধরি করে চলে লেগস্পিনারদের বেলায়। ছোট্ট ক্যারিয়ারে আমিনুলেরও দেখা হয়েছে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।

এমন বাস্তবতায় নিজেকে স্থির রাখাটা কঠিন হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে ধরে রাখতে আমিনুল যা করেন তার পুরোটাই মনস্তাত্ত্বিক, ‘ম্যাচ শেষ হতেই পেছনের কথা ভুলে যাওয়া। ভালো হোক মন্দ হোক আমি আগের কিছু নিয়ে ভাবি না। সামনের ম্যাচকেই প্রাধান্য দেই। নতুন প্রতিপক্ষ, নতুন দিন, নতুন পরিকল্পনা। নিজেকে নতুন করে তৈরির চেষ্টা করি।’

ভেট্টরি বাংলাদেশের স্পিন বোলিং হয়ে আসার আগেই আন্তর্জাতিক আঙিনায় প্রবেশ করেছেন আমিনুল। ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ২ উইকেট নিয়ে আলো ছড়ান। পরে চোটের কারণে চলে যান দলের বাইরে।

চোট কাটিয়ে ফিরতেই কোচ হিসেবে পান এক সময়কার স্পিনের রাজা, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ভেট্টরিকে। ভারত সফরে যাওয়ার আগে মিরপুরে আমিনুলকে নিয়ে অনেক কাজ করেছেন কিউই কোচ। ভারত সফরে প্রথম দুটি ম্যাচে আমিনুলকে দেখা গেছে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে। ২০ বছরের তরুণ শেখার মন্ত্র নিয়ে সময়ের সঙ্গে নিজেকে এগিয়ে নিতে পারলে দেশের লেগস্পিন হাহাকারে আসতে পারে বিপ্লব!

Exit mobile version