চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

আর্জেন্টিনা গেঁড়ো খুলতে পারবে ফ্রান্স?

মাঠের খেলা কিংবা শক্তি বিবেচনায়, বর্তমান আর্জেন্টিনার চেয়ে ফ্রান্সকে এগিয়ে রাখলে মতবিরোধ থাকবে না ফুটবল বোদ্ধাদের! অসাধারণ আক্রমণভাগ নিয়ে লাতিন পরাশক্তিদের দুর্বল রক্ষণকে গুঁড়িয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে ফরাসিরা। সেখানে এই আর্জেন্টিনা এক মেসির উপর নির্ভর, আর বড্ড অগোছালো।

ফ্রান্স-আর্জেন্টিনার এই যে ব্যবধান, তা মেনে নেয়ার মাঝে যা কিছুটা দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারে সেটি কেবল ইতিহাস-পরিসংখ্যান। কারণ ইতিহাস বলছে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে কখনোই জয়ের স্বাদ পাওয়া হয়নি ১৯৯৮ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের।

Bkash July

আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স মহারণের আগে জেনে নেয়া যাক কিছু তথ্য-

>মোট ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স। যাতে ছয় জয়ে এগিয়ে মেসিদের দল। ফ্রান্স সর্বসাকুল্যে জয় পেয়েছে ২ বার। যার শেষটি আবার ৩২ বছর আগে, ১৯৮৬ সালে। বাকি তিন ম্যাচ ড্র।

Reneta June

>বিশ্বকাপে মোট দুবার ফ্রান্সের দেখা পেয়েছে আর্জেন্টিনা। দুবারই হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে লাতিন আমেরিকান জায়ান্টরা। প্রথমটি ১৯৩০ সালে, আর দ্বিতীয় জয়টি ১৯৭৮ সালে।

>দুই দলের মুখোমুখি শেষ চার লড়াইয়ে প্রত্যেকটিই জিতেছে আর্জেন্টিনা। শেষটি ২০০৯ সালে। মেসি গোল পেয়েছিলেন সেই ম্যাচে।

>নিজেদের শেষ ৭ ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই জিতেছে ফ্রান্স।

>নিজেদের শেষ ৭ ম্যাচের পাঁচটিতে ফ্রান্সের জালে বল জড়াতে পারেনি কোনো প্রতিপক্ষ।

>ট্রাইবেক বাদে বিশ্বকাপে শেষ এগারো নক আউটে ফ্রান্সের হার কেবল একবারই। সেটি ২০১৪ বিশ্বকাপে। জার্মানির কাছে, ১-০ গোলে।

>নক আউটে মেসি গোল পাননি মোট ৬৬৬মিনিট!

>স্যামুয়েল উমতিতির চোট নিয়ে শঙ্কায় আছে ফ্রান্স। ডেনমার্কের বিপক্ষে চোটে পড়েছেন বার্সা ডিফেন্ডার। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেললেও উমতিতির সেরাটা না পাওয়ার শঙ্কা থাকছেই। মিডফিল্ডার এনজো পেরেজকে নিয়ে একই শঙ্কায় আর্জেন্টিনা। তবে, তার চোট খুব একটা গুরুতর নয় বলে জানানো হয়েছে।

>ডেনমার্ক ম্যাচে বিশ্রামে যাওয়া কাইলিয়ান এমবাপে, পল পগবা এবং গোলরক্ষক হুগো লরিস ফিরছেন মূল একাদশে। আর নাইজেরিয়া ম্যাচের একাদশ নিয়েই ফরাসিদের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। অর্থাৎ, মূল একাদশে ব্রাত্যই থাকছেন পিএসজি মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসো।

>হলুদ কার্ড শঙ্কায় আছেন পগবা, ব্লেইজে মাতুইদি এবং কোরেন্তিন তুলিজোর। আর্জেন্টিনার সংখ্যাটা আরও বেশি। এভার বানেগা, গ্যাব্রিয়েল মেকার্দো, হাভিয়ের মাশ্চেরানো, লিওনেল মেসি, মার্কোস আকুইনা এবং নিকোলাস ওটামেন্ডিকে নিয়ে মোট ৬জন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় আছেন একই শঙ্কায়। তাদের যে শনিবারের ম্যাচে কার্ড দেখবেন, দল পরের পর্বে উঠলেও খেলতে পারবেন না।

>গ্রুপপর্বে ফ্রান্স গোল করেছে তিনটি, আর হজম করেছে একটি। আর্জেন্টিনা তিন গোলের বিপরীতে হজম করেছে পাঁচটি।

>ফ্রান্সের কাইলিয়ান এমবাপের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে আর্জেন্টিনাকে।

>মেসিকে আটকাতে পারলেই আর্জেন্টিনাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে পারবে ফ্রান্স।

>গঞ্জালো হিগুয়েনকে নিয়ে ভীষণ চিন্তায় আর্জেন্টাইন শিবির। জাতীয় দলের হয়ে শেষ আট ম্যাচে একটিও গোল পাননি জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড। অ্যান্থনিও গ্রিজম্যানকে নিয়ে প্রায় একই সমস্যায় ফ্রান্স। বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলতে পারেননি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View