Site icon চ্যানেল আই অনলাইন

আরেক স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায় মাবিয়া

Advertisements

অনুশীলন প্রস্তুতি নিয়েই কঠিন পরীক্ষায় যাচ্ছেন এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। ছেলেদের পেছনে ফেলে এবার অলিম্পিক মিশনে শুধু মেয়েরা। উজবেকিস্তানে বাছাইপর্বে অংশ নেবেন চার ভারোত্তোলক।

১৬ বছর আগে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম চত্বরে অনুশীলন করতেন বাংলাদেশের ভারোত্তোলকরা। স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনায় ভারোত্তোলকদের নতুন ঠিকানা হয় ‘বাংলাদেশ বডি বিল্ডিং ফেডারশন জিম’।

সেখানে একসঙ্গে অনুশীলন করতে পারেন মাত্র চারজন। ফাঙ্গাস পড়া ছোট্ট কক্ষটির দুটি এয়ার কন্ডিশনই নষ্ট, যেখানে সেখানে স্তুপ করে রাখা ময়লা-আবর্জনা। অ্যাথলেটদের প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার যে ব্যবস্থা আছে তাও ব্যবহার অযোগ্য।

এ বিষয়ে মাবিয়া আক্তার বলেন, এই জায়গাটি আসলে ন্যাশনাল অনুশীলনের জন্য গ্রহণযোগ্য না। কারণ এতোটুকু একটা জিমনেসিয়ামে জুনিয়রা ট্রেনিং করলেই ভরে যায় আর সেখানে আমরা আসলে ওদেরকে চলে যেতে হয়। যা একেবারে উচিত নয়।

এসএ গেমসে ভারোত্তোলক রূপা জয়ী রোকেয়া সুলতানা সাথী বলেন, অন্যদেশে বড় ধরনের খেলা হলে দু’ চারমাস আগ থেকেই ক্যাম্প থাকে। যদি আমাদেরও একটি দীর্ঘ মেয়াদী ক্যাম্প দেয়া হতো, প্রশিক্ষণ হতো তাহলে ওদের চেয়ে আমরা অনেক ভালো করতে পারবো।

এরমধ্যেও দেশের মানুষকে গর্বিত করছেন ভারোত্তোলকরা। এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ের পর মাবিয়াদের এবার মিশন রিও অলিম্পিক। বাছাইপর্বে অংশ নিতে এসএ গেমসের জন্য নেভি ক্যাম্পে ৬ মাসের অনুশীলন এবারো তাদের মূল সম্বল।

মাবিয়া বলেন, স্বর্ণ জয় করার পর এতো ভালোবাসা আর এতো সহযোগীতা পেয়েছি যে এই ভালোবাসা আমার অলিম্পিকের মূল উৎসাহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এবার অলিম্পিকে আমার চাওয়াটা অনেক বড়। মন বলছে, আমি বাছাই পর্বে টিকে থাকতে পারবো।

বুধবার ভোরে ওলিম্পিকের বাছাইপর্বে অংশ নিতে ঢাকা ছাড়ছেন চার অ্যাথলেট। ৬৩ কেজি ক্যাটাগরিতে মাবিয়া, ৬৯’এ রোকেয়া সুলতানা সাথী, ৫৮ কেজিতে ফুলপতি চাকমা এবং ৪৮ কেজি ক্যাটাগরিতে অংশ নেবেন মোল্লা সাবিরা সুলতানা।

Exit mobile version