সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার সামনে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ও নতুন কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে রাজু আহমেদ নামে এক কর্মী মারা গেছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ছাত্রদলের আরো দুই কর্মী।
শনিবার রাতে সিটি মেয়রের কুমারপাড়াস্থ বাসার পাশে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, শনিবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের স্থগিত ২ কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর আরিফুল হক চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হলে তাকে নিয়ে নগরীতে শোডাউন বের করে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা কর্মীরা। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আরিফের শোডাউন তার বাসার পার্শ্ববর্তী কুমার পাড়া পয়েন্টে এসে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা মহানগর ছাত্রদলের নির্বাচিত কমিটির রকিব গ্রুপের কর্মীরা আরিফের সাথে থাকা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাদের (বিদ্রোহী গ্রুপ) উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় তাদের দায়ের কোপে ও গুলিতে গুরুতর আহত হন মহানগর ছাত্রদলের বিগত কমিটির প্রচার সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার রাজু (৩২), বর্তমান কমিটির সদস্য উজ্জ্বল আহমদ (২৮) ও ছাত্রদল কর্মী সালাউদ্দিন লিটন (২৫)।
সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের উপপরিচালক দেবব্রত রায় জানান,গুরুতর আহতাবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচার কক্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফয়জুল আনোয়ার রাজুর মৃত্যু হয়। বাকি দুজন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, সংঘর্ষের একজন নিহতের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাকে বিজয়ী ঘোষণার পর বিজয় মিছিল হয়। সেই মিছিল বাসায় গিয়ে শেষ হয়। সেখান থেকে আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের বিদায় করতে একটি হোটেলে যাই। কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে মিটিংয়ে ছিলাম। এ সময় ঘটনাটি ঘটেছে।