ছাত্রলীগ নেতা আরজু হত্যার ঘটনায় সিএমএম আদালতে নালিশী মামলা করেছেন আরজুর ভাই মাসুদ রানা। র্যাব-২ এর সিও কর্নেল মাসুদ রানা, ডিএডি সাহিদুর রহমান, পরিদর্শক ওয়াহিদ এবং সোর্স রতনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মোহাম্মদ আদনান আবেদন শুনানি করে মঙ্গলবার আদেশের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
১৭ আগস্ট (সোমবার) রাতে কিশোর রাজা হত্যার অভিযোগে আটক হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগ সভাপতি আরজু র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। মঙ্গলবার ভোরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলা প্রসঙ্গে বাদীর আইনজীবী বলেন, বাদী আজ আদালতে এসে বিচারক মোহাম্মদ আদনান ২৮ নম্বর এজলাসে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করে। এতে তিনজন র্যাব কর্মকর্তা এবং সোর্সকে আসামী করেছেন তিনি।
পরে এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত শুনানি হলেও এ বিষয়ে আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে ২৫ আগস্ট আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছেন।
বাদীর আইনজীবী আরো জানান, আজ মামলার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। আদালত আগামী ২৫ তারিখ এসংক্রান্ত আদেশ দিবেন।।
গত ১৭ আগস্ট মোবাইল চুরির অভিযোগে কিশোর রাজাকে হাজারীবাগের বাসা থেকে আরজুর বাসায় ডেকে নিয়ে পেটানো হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় ১৬ বছর বয়সী রাজার। পরে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। রাজা হত্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলার এক নম্বর আসামী ছিলো আরজু।
তবে হাজারিবাগ থানা ছাত্রলীগ নেতা আরজু মিয়া নিহতের ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ফজলে নূর তাপস, এমপি। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে জবাব দিতে হবে বলে শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের তৈরি র্যাব দিয়ে এই সরকার চলতে পারে না। র্যাবকে ঢেলে সাজানোতে হবে।
র্যাবের দাবি, আরজুকে নিয়ে অভিযানে গেলে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন আরজু। একই পরিণতি হয়েছে মাগুরায় মায়ের পেটে শিশু গুলিবদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িত আজিবরের।