করোনার এই বিপর্যস্ত সময়ে শুটিং বন্ধ থাকায় বিপাকে আছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অসচ্ছল অভিনয় শিল্পী থেকে শুরু করে কলাকুশলীরা। এই অঙ্গনের সচ্ছলদের সহায়তায় সেইসব মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠনগুলো। করোনাকালে নিয়মিত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।
আর এই সংগঠনেই নিজের সামর্থ অনুযায়ি আর্থিক অনুদান দিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের গানে সাড়া জাগানো কণ্ঠশিল্পী কনক চাঁপা। বিষয়টি প্রথমে জানান শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
তিনি বলেন, শিল্পীদের কোন ব্যারিকেড নেই। তেমনি একজন কণ্ঠশ্রমিক কনক চাঁপা। তিনি আমাদের এফডিসির কোন সংগঠনের সদস্য না। কিন্তু তিনি নিজে থেকে ফোন করে চলচ্চিত্রের অসচ্ছল শিল্পীদের জন্য নিজে এসে শিল্পী সমিতিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে কিছু বলতে চাননি কনক চাঁপা ও তাঁর স্বামী মইনুল ইসলাম খান। চ্যানেল আই অনলাইনকে তারা জানান, ‘আর্থিক সহায়তা দেয়া নিয়ে আমরা কোনো প্রচার চাই না।’ কিন্তু যখন বলা হয়, শিল্পী সমিতি ইতোমধ্যে কনক চাঁপার আর্থিক অনুদান প্রদানের খবরটি প্রকাশ করেছেন, তখন তারা এ বিষয়ে মুখ খুলেন।

জানান, বর্তমানে চলচ্চিত্রের শুটিং বন্ধ আছে, প্রোডাকশনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বিভাগের কলাকুশলী আছেন যারা দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে কাজ করেন। কিন্তু শুটিং বন্ধ থাকার ফলে নিশ্চয় তারা বিপদে আছেন। এমন মানুষদের কথা ভেবেই নিজেদের সামর্থ অনুযায়ি কিছু অর্থ নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর মনস্থির করি। নিজেদের সামর্থ অনুযায়ি খুব যৎসামান্য অর্থই আমরা শিল্পী সমিতিতে দিয়েছি। ঠিক একইভাবে সমপরিমাণ অর্থ পরিচালক সমিতিতেও দিয়েছি।
চ্যানেল আই অনলাইনকে কনক চাঁপা বলেন, এতো বছর ধরে চলচ্চিত্রে গান করেছি। আমার সব অর্জনইতো চলচ্চিত্রের গান গেয়ে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস, মেরিল-প্রথম আলো এসবতো চলচ্চিত্রে গান গেয়েই অর্জন করেছি। মানুষ আমাকে চলচ্চিত্রের গানের জন্যই চিনেছেন, তাদের জন্যই আমি কনক চাঁপা হয়েছি। ফলে এই অঙ্গনের প্রতি এমন দুঃসময়ে আমার কিছু দায়িত্ব রয়েছে বলে মনে করি, সেই জায়গা থেকেই যতোটকু পেরেছি তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এটুকু করতে পেরেই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।